দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে (Jaynagar) ত্রাণ নিয়ে যেতে পুলিশি বাধার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ সিপিএম। বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল আদালত।
অপরদিকে, বাম-কংগ্রেস, নৌশাদ সিদ্দিকির পর এবার ‘আমরা আক্রান্ত’কেও জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে যেতে বাধা পুলিশের। এদিন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর নেতৃত্বে গ্রামে যায় নাগরিক সংগঠন ‘আমরা আক্রান্ত’। দলুয়াখাকি গ্রামে ঢোকার মুখে মনসাতলা এলাকায় তাঁদের আটকায় পুলিশ। এর আগে ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকেও যেতে বাধা দেওয়া হয়।
সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর, দলুয়াখাকিতে ঢুকতে পারেনি সিপিএমের প্রতিনিধিদল। চাল-ডালের জন্য হাহাকার করতে থাকা গ্রামে শুক্রবার ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে পারেনি কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলও। পুলিশের সঙ্গে বচসার পর, ত্রাণ না দিয়েই ফিরতে হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বকেও। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেছেন,'আমরা এসেছি ত্রাণ নিয়ে। আমাদের যেতে দিন।' বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেছেন, 'আপনাদের যা ত্রাণের জিনিস আছে আপনারা জয়নগরের বিডিওকে দিয়ে দেবেন উনি ডিসট্রিবিউট করে দেবেন।' মঙ্গলবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সিপিএমের প্রতিনিধিদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্রামে ঢুকতে পারেননি সুজন চক্রবর্তীরা। দলুয়াখাকিতে ঢুকতে পারেননি আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও।
আর শুক্রবার, দলুয়াখাকিতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদেরও। সব হারানো দলুয়াখাকি যেনও 'দুর্ভেদ্য'। সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পরই,আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিপিএমের একাধিক কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে।সর্বহারা সিপিএমের সেই কর্মীদের জন্যই এদিন ত্রাণ নিয়ে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।কিন্তু, গ্রামে ঢোকার আগে রামচন্দ্রপুর হাটের সামনেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ত্রাণ না দিয়েই ফিরে যেতে হয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির কাছে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে ফিরে আসেন নেতা-কর্মীরা। এই ত্রাণসামগ্রী পরে বন্টন করে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
আরও পড়ুন, জয়নগরে ১৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে গ্রেফতার ৩
জোড়া খুনের পরেই জয়নগরে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতা খুনের পরই গ্রাম ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক সিপিএম কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টা চারেক ধরে চলে তাণ্ডব, দাবি গ্রামবাসীদের। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীদের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। এদিন জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ১৬টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে অবশেষে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।