শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির (Corruption in SSC) অভিযোগে তোলপাড় চলছে রাজ্যে (West Bengal)। ঠিক এই সময় কোচবিহার পুরসভাতেও (Cooch Behar Municipality) অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠল। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, বিরোধীরা নয়, খোদ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মুখেই শোনা গেল অনিয়মের কথা। তাঁর দাবি, ‘নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। ফিনান্সের অনুমোদন ছিল না। ফলে রিটায়ারমেন্টের পরে অনেকেই প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না।’
কোচবিহার পুরসভায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ
কোচবিহার পুরসভা সূত্রে খবর, গত এক বছরে, ৮০ জনেরও বেশি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁদের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কথা মানলেও, যাবতীয় অনিয়মের দায় পূর্বসূরীদের ঘাড়েই চাপিয়েছেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘সুইপার হিসেবে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা কেউ সেই কাজ করে না। এটা আগের চেয়ারম্যানদের আমলে হয়েছে।’
তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির
কোচবিহার পুরসভায় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র দাবি, ‘দীর্ঘদিন ধরে এটা চলছে। উনি এসে ধরেছেন, এর জন্য ধন্যবাদ। তবে বোর্ড তৃণমূলেরই ছিল। ফলে উনিও দায় এড়াতে পারেন না। কাউন্সিলরদের ছেলেমেয়েরা সাফাইকর্মী হিসেবে নিয়োগ হয়েছে। তাই তাঁরা মাইনে তুলতেন, কাজ করতেন না। ফলে ড্রেনেজ সিস্টেম নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশে দল
অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে অবশ্য কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশেই দাঁড়িয়েছে দল। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মনের দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষে সঠিকভাবে পুরসভা পরিচালনা করছেন। আগে কী হয়েছে তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকে তাহলে সেটা দলের বিষয় নয়, ব্যক্তিগত।’
আরও পড়ুন কোচবিহারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড তুফানগঞ্জ
এর আগে কোচবিহার শহরের বেহাল নিকাশি নিয়ে সমস্যার কথা মেনে নেন পুর-চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার পুরসভার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে সরগরম কোচবিহারের রাজনীতি।