কলকাতা : হাঁসখালির ঘটনায় বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। এবার বিজেপির পাল্টা তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী যাচ্ছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।


কী হয়েছিল দিল্লিতে ?


হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে দিনকয়েক আগে। সংঘর্ষের সময় পাথর-ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আট পুলিশ কর্মী ছাড়াও একজন স্থানীয় আহত হন। কিছু গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। অন্তত তেমনই জানায় পুলিশ। এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছে দিল্লি পুলিশ। তাতে ঘটনার পুঙ্খনাপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (NSA) আরোপ করেছে দিল্লি পুলিশ। এরা সংঘর্ষে ইন্ধন জুগিয়েছিল বলে অভিযোগ। সোমবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জাহাঙ্গীরপুরী হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশকে। তার পর গতকাল অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জন- আনসার, সেলিম চিকনা, ইমাম শেখ ওরফে সোনু, দিলশাদ ও আহিদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন আরোপ করা হয়।


আরও পড়ুন ; শাহের নির্দেশের পরের দিনই দিল্লি হিংসায় ৫ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন আরোপ


ঘটনার পর গত কয়েক দিন ধরে থমথম করছিল গোটা এলাকা। পাশাপাশি শুরু হয় তদন্তও। তার মধ্যেই বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুরসভার ন’টি বুলডোজার ওই এলাকায় পৌঁছয়। ৪০০ পুলিশ নামিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখা দিলে বা হিংসা ছড়ালে তা সামাল দেওয়ার জন্য আলাদা করে বাহিনীও নামানো হয়। তার পর বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল করে থাকার অভিযোগ তুলে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।


এই হিংসার ঘটনার সত্য অনুসন্ধানে এবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাতে চলেছে তৃণমূল। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে তৃণমূলের ৬ মহিলা সাংসদ থাকছেন। ‘ঠিক কী হয়েছিল জাহাঙ্গিরপুরীতে? কেন হিংসা?’ কারণ অনুসন্ধানে শুক্রবার জাহাঙ্গিরপুরী যাচ্ছে তৃণমূল। কাকলি ঘোষদস্তিদারের নেতৃত্বে যাচ্ছেন তৃণমূলের ৫ সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ঘটনায় সত্য অনুসন্ধানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ওই দিনই দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁরা। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন। 


এদিকে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির (Hanskhali) ঘটনায় বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। ‘নির্যাতিতা নাবালিকাকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়নি তো ?’ নাড্ডাকে দেওয়া রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।


নাড্ডাকে রিপোর্ট পেশ-


‘পুলিশের ওপর আস্থা নেই বাংলার মানুষের। আশা করি সিবিআই তদন্তে সত্য সামনে আসবে। গত ৭ থেকে ১০ দিনে বাংলায় ৩০টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বাংলায় ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা চায় মানুষ। এরকম পরিবেশে বাংলায় চপ মুড়ি শিল্প ছাড়া আর কোনও শিল্প আসবে না’, নাড্ডাকে রিপোর্ট বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির।