শুভেন্দু ভট্টাচার্য, তুফানগঞ্জ (কোচবিহার) : ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে একের পর এক বাড়ি (Home Destructed)। ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল। বৃষ্টির (rain) জলে ভিজে সপসপে তোষক থেকে পড়ার বই। উল্টে পড়ে আছে গ্যাস সিলিন্ডার। ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। প্রকৃতির তাণ্ডবে লন্ডভন্ড কোচবিহারের (cooch behar) তুফানগঞ্জ (tufangung) ২ নম্বর ব্লকের রামপুর-সহ একাধিক গ্রাম। বৃহস্পতিবার রাতের কয়েক মিনিটের ঝড়-বৃষ্টিতে সর্বহারা বহু মানুষ।


লন্ডভন্ড একাধিক এলাকা


কয়েকদিন ধরেই কোচবিহারে চলছে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ বৃষ্টি থামতেই শুরু হয় প্রবল ঝড়। গাছ উপড়ে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে বারোবিশা-রামপুর রাজ্য সড়ক। ঝড়-বৃষ্টি থামতেই রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের মৃতদেহ (deadbody)। তাঁর কাছ থেকে মিলেছে আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। তা থেকে জানা যাচ্ছে, মৃতের বাড়ি মহারাষ্ট্রের নানদেড় জেলায়। কিন্তু তিনি কেন এখানে এসেছিলেন, ঝড়-বৃষ্টির জেরেই কি তাঁর মৃত্যু হয়েছে? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বাড়ি।


চলছে উদ্ধারকাজ


গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহারের জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন,এখনো পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


এদিকে, আগামী ক'দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিকেলের দিকে কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া বইবে বলেই সম্ভাবনা। সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। এদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলেই খবর। তবে দার্জিলিং সহ উপরের দিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে।