কলকাতা: কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj Minor Murder) ঘটনায় কড়া বিবৃতি জারি করা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission For Women) তরফে। বলা হয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও কমিশনের নজরে এসেছে। সেই ভিডিওয় পুলিশকে নাবালিকার দেহ নির্মমভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। গোটা ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে চিঠি লিখলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। বক্তব্য স্পষ্ট। বিষয়টি যেন ডিজি ব্যক্তিগত ভাবে খতিয়ে দেখে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত করেন।


ট্যুইটে কেন সরব রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন?
এদিকে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনে। লেখা, '১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের এই ভূমিকা লজ্জাজনক। যেভাবে এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। 'তথ্য যাচাই না করেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আইন ভেঙে রাজ্যের কমিশনকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।' 


কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল এক নাবালিকা। শুক্রবার সকালে একটি পুকুরে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। মৃতা এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে, প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রথমে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ ও পরে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ মৃতদেহ তুলতে গেলে, বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই দু-পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে ইট। পাল্টা ইট ছোড়ে পুলিশও। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। চলে ব্যাপক লাঠিচার্জ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃত নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মৃতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবক ও তাঁর বাবাকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে আরও  কয়েকজনকে আটক করা হয়।


আরও পড়ুন:নমাজ শেষ হতেই দুর্গার বায়না, খুশির ইদে সম্প্রীতির ছোঁয়া মহানগরে