সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইক আরোহী তিন বন্ধুর (Bike Accident)। গতকাল রাত ২টো নাগাদ কালীপুজো  দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ১৮-১৯-এর তিন তরুণ (Three Friends Died)। শ্যামপুরের কলিয়া মোড়ের কাছে পিছন থেকে গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃত শান্তনু হাতি, বিজয় হাতি ও কুন্তল দাস শ্যামপুরের ধান্দালি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের কারও হেলমেট ছিল না। ঘাতক গাড়ির চালকের খোঁজ চলছে। 


কী ঘটেছিল?
গত কাল রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ৩ যুবক কালীপুজো দেখে বাড়ি ফিরছিলেন, জানতে পেরেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, একটি গাড়ি বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। তাতে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পুলিশ সূত্রে খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে পড়েছিলেন। পরে শ্যামপুর থানার পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে আপাতত যা জানা গিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে তিন যুবকের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। যদিও গাড়ি ও চালক কাউকেই এখনও ধরা যায়নি। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা নতুন নয়। 


বাঁকুড়ায় দুর্ঘটনা...
দিনদুয়েক আগেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি দোকানে ঢুকে পড়েছিল বেপরোয়া গতির লরি। তার ধাক্কায় এক জনের মৃত্যু হয়। আহত আরও এক। দীর্ঘক্ষণ পরে পুলিশ পৌঁছানোয় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে মৃতদেহ ফেলে রেখে অবরোধ শুরু করেন। পরে ছাতনা থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মৃদু লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে।  রাতের আঁধারে ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার সনপুরা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি লরি বাঁকুড়ার দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে শালতোড়ার দিকে যাচ্ছিল। সনপুরা মোড়ের কাছাকাছি আসতেই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ে রাস্তার ধারের একটি অস্থায়ী দোকানে। দোকানে সেই সময় জিনিস কিনছিলেন স্থানীয় একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার শ্রমিক দুর্গাদাস মুর্মু। লরিটি তাঁকে পিষে দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন দোকানের মালিক পুতুল পরামানিক। আহত মহিলাকে প্রথমে জোড়হিড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে কি ভেস্তে যাবে সুপার সানডে? টস জিতলে রান তাড়া করার অঙ্ক