হাওড়া: স্টেশনে ট্রেন নেই। হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) তুমুল বিশৃঙ্খলার ছবি। হাওড়া(Howrah)-মেদিনীপুর(Midnapur) শাখায় ট্রেন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। বিকেল ৫টায় শেষ ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মেলেনি রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া। একই ছবি বালিগঞ্জ (Baliganj), দমদম (Dumdun), ব্যারাকপুরেও (Barakpore)।
গতকাল নবান্নে (Nabanna) ঘোষণা হওয়ার পর এই দফার বিধি-নিষেধের প্রথম দিন আজ। গতকাল জানানো হয়েছিল আজ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। শুধু তাই নয় সংক্রমণ ঠেকাতে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ট্রেন চলার নির্দেশিকা দেওয়া হয়। আজ প্রথম দিনেই চূড়ান্ত হয়রানির ছবি ধরা পড়ল। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী যাত্রী বিক্ষোভের কারণে হাওড়া স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ছে স্পেশাল ট্রেন। ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে মেদিনীপুর স্পেশাল।
অন্যদিকে ভিড়ের চাপে দমদমে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন যাত্রী। সাড়ে ৫টার আপ বনগাঁ লোকাল থেকে পড়ে আহত হন এক মহিলা। বারুইপুর স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে পড়ে আহত মহিলা। ডাউন ডায়মন্ড হারবার লোকাল থেকে পড়ে যান বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিড় ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি।
উল্লেখ্য, লোকাল নিয়ে যাত্রী বিক্ষোভ সামলাতে শেষপর্যন্ত বিধি বদল। সন্ধে ৭টার বদলে রাত ১০টায় ছাড়বে শেষ লোকাল। আজ থেকেই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে রেল সূত্রে খবর। পূর্ব ঘোষণা পাল্টে আরও ৩ ঘণ্টা সময়সীমা বাড়ানো হল।
রাজ্য সরকারের পরামর্শেই লোকাল ট্রেনের সময়সীমা বাডা়নো হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। সোমবার বিকেলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজ্য সরকারের পরামর্শ মেনে সমস্ত লোকাল, শহরতলি এবং ইএমইউ-এর লোকাল ট্রেন পরিষেবা রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ানো হল। রাত ১০টার পর আর ট্রেন চলবে না। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই ট্রেন চলবে।
আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে রেল। তবে এক্সপ্রেস এবং দূরপাল্লার ট্রেন এবং মালগাড়ির সময়সূচিতে কোনও রদবদল ঘটানো হয়নি। আগের মতোই চলবে সেগুলি। তবে সমস্ত যাত্রীকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি পালন-সহ সমস্ত কোভিড বিধি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রন আতঙ্কে বন্ধ পর্যটনকেন্দ্র, দার্জিলিং থেকে দিঘা-ফিরছেন পর্যটকরা