কলকাতা: রাজ্যে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড সংক্রমণ (COVID Cases)। তার মধ্যেই ওমিক্রন (COVID Variant Omicron) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department)। তাতে বলা হয়েছে, বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে যাঁদের, অথবা বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে জিনোম সিকোয়েন্সিক (Genome Sequencing) বাধ্যতামূলক। তবে করোনা হলেই কলকাতার বাসিন্দাদের জিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ (COVID Rules) চালু হয়েছে রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান সঙ্কট নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তার পরেই আগের নির্দেশিকা স্থগিত রেখে নতুন করে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি ল্যাবের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সংক্রমিতের সংখ্যা যে ভাবে বে়ড়ে চলেছে, তাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে।
রাজ্যে চিকিৎকদের মধ্যেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাতে সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু পর্যালোচনা করে দেখতেই সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা।
ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখা নিয়ে রূপরেখা তৈরির পাশাপাশি, হস্টেল বন্ধ ও এমবিবিএস পাঠক্রমের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-তে আক্রান্ত ১২ জন চিকিত্সক। ন্যাশনাল মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিত্সক ও চিকিত্সক মিলিয়ে প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা প্রায় ৩৬। কলকাতা মেডিক্যালে ৭ এবং এনআরএসে ১০ জন ইন্টার্ন ও চিকিত্সক, নার্স মিলিয়ে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।