উমেশ তামাং,কালিম্পং: করোনার ভয় কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কালিম্পংয়ের চারখোল। বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। করোনা বিধি মেনেই পর্যটকদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে এখানকার হোম স্টের মালিকরা। নিরিবিলিতে বেড়ানো উপভোগ করছেন পাহাড়প্রেমীরাও।


আকাশে ভাসমান মেঘের ভেলা। পাহাড়ের কপাল ছুঁয়ে যাচ্ছে তুলো তুলো মেঘ। এদিক-ওদিক পাখিদের ওড়াওড়ি আর চারপাশে ফুলেদের সমাহার। বাড়তি পাওনা, ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার চাদর ঘেরা নিরিবিলি দিন। করোনার ভয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কালিম্পংয়ের চারখোল ট্যুরিস্ট স্পট।প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে অপরূপ এই জায়গা। পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে হোম স্টের ব্যবস্থা। সংক্রমণ-আতঙ্কে গত ২২ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেগুলির দরজা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের খুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি। তবে ভ্যাকসিনের ২ ডোজ নেওয়া থাকলে তবেই আসতে পারবেন পর্যটকরা।


আরও পড়ুন: সাত দিন ধরে পানীয় জলের সঙ্কট, জেরবার শিলিগুড়িবাসী


পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে চারখোলের মানুষদের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। করোনার কোপে প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর্যটকহীন জীবন কাটিয়েছেন তাঁরা। সামনেই পুজোর মাস, ফের শুনশান চারখোল সরগরম হবে পর্যটকদের আনাগোনায়। আশায় বুক বাঁধছেন স্থানীয়রা। চারখোল হোম স্টে ওয়েলফেয়ার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় গুরুঙ্গ বলেন, এপ্রিলের ২২ তারিখ থেকে বন্ধ ছিল। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরাও আসছেন। এখন খুব বেশি পর্যটক না থাকলেও অক্টোবরে প্রায় পুরোটাই বুকিং হয়ে গেছে। এখানে ট্যুরিজম নির্ভর জীবন। স্থানীয়রাও তাই আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে।


খাঁচার পাখির মতো বন্দিদশা থেকে বের হতে এমন নিরিবিলি জায়গাই বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা। প্রাণ ভরে অক্সিজেন নেওয়ার পাশাপাশি চোখ ভরে উপভোগ করছেন নৈসর্গিক সৌন্দর্য। পর্যটক শর্মিষ্ঠা বড়ালের কথায়, বরাবরই পাহাড় ভালবাসি। বহুদিন বের হতে পারিনি। ২টো ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েই এসেছি। ভাল লাগছে। এখানে করোনা বিধি মানা হচ্ছে। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: তল্লাশির নামে তছনছ করা হয়েছে ঘর ! CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল কোচবিহারে