শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও এরশাদ আলম, কোচবিহার : তল্লাশির নামে তছনছ করা হয়েছে ঘর ! কোচবিহারে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্তে যাওয়া CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তর পরিবারের সদস্য মৌসুমী খাতুন বলেন, সিবিআই এসে সব তছনছ করে দিয়েছে। ঘরের তালা ভেঙে দিয়েছে।


গত ৩ মে, ভোটের ফল ঘোষণার পর দিন কোচবিহারের দিনহাটা থানার পেটলা রাজাখোরা গ্রামে বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের নাম জড়ায় সেই ঘটনায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। এদিন তৃতীয়বারের জন্য তদন্তকারীরা যান রাজাখোরা গ্রামে। একাধিক অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি চালান। বিজেপি কর্মী হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত তৃণমূল কর্মী রেজাউল হককে আটক করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।


অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী রেশমা খাতুন বলেন, আমরা ঘটনার দিন ছিলামই না গ্রামে। ৩ মাস ২ দিন জেল খেটেছে স্বামী। আজ আবার ওকে ধরে নিয়ে গেল, আমরা নির্দোষ। কোচবিহারে তদন্তের জন্য আসা সিবিআইয়ের অফিসারেরা কেউ এনিয়ে কিছু বলতে চাননি।


অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী অশান্তিতে বিজেপি কর্মীকে খুনের মামলায় এদিন সিউড়ি আদালত অভিযুক্ত ৩ তৃণমূল কর্মীর জামিনের আবেদন খারিজ করে। গত ১২ জুন, কাঁকরতলা থানার নবাসন গ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি। অভিযুক্ত ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁদের মধ্যে ২ জন জামিনে মুক্ত। সোমবার বাকি ৩ জনের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সিউড়ি জেলা জজ আদালতে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। বিচারক শুভ্রজিৎ বসু বলেন, ঘটনার অভিযোগপত্রে কোথাও রাজনৈতিক-যোগের উল্লেখ নেই। তাহলে আপনারা কেন তদন্ত করছেন ?


সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ভোট পরবর্তী অশান্তির মামলা এটি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছি। এই মামলায় এতদিন ধরে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আমরা ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এদের এখন জামিন দেওয়া হলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এরপর অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিচারক।