কলকাতা: সন্দেকাশখালিণ্ডে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের। তিনি বলেছেন, 'শেখ শাহজাহান, শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অনুরোধ করছি এদের রক্ষাকর্তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করুন'। সন্দেশখালিতে ধর্ষণ, জমি জবরদখলের প্রসঙ্গে উল্লেখ করলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী (Chhattisgarh CM )।


'রাজনৈতিক অবস্থান ছেড়ে উঠে আসুন', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি বিষ্ণু দেও সাইয়ের। জাতীয় আদিবাসী কমিশনের সন্দেশখালি রিপোর্টে নৃশংস ও ভয়ানক ছবি, মন্তব্য ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যের মা-বোনেদের সঙ্গে অবিচারের হৃদয়বিদারক ঘটনা আপনার রাজ্যে সামনে এসেছে', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে মন্তব্য ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর।


সাতদিনের মধ্য়ে গ্রেফতার করা হবে শেখ শাহজাহানকে। হাইকোর্টের মন্তব্য়ের পর জানালেন কুণাল ঘোষ। এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। ধরা পড়ছে না তা নয়, ধরা হয় না, কটাক্ষ করেছেন অধীর চৌধুরী। পুলিশের ঘেরাটোপে আছেন শেখ শাহজাহান, মন্তব্য সুজন চক্রবর্তীর। পাল্টা জবাব দিয়েছেন শান্তনু সেন।


সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ওপর আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই।আর এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন,শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার নিয়ে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক বলেছিলেন। আদালতের আইনি জটেই বিষয়টা আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাইকোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেফতার হবে। কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা হাইকোর্টকে ধন্য়বাদ জানাচ্ছি এবং আমরা দলের তরফে বলছি আমরা আশাবাদী, আমরা কনফিডেন্ট ৭ দিনের মধ্য়ে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবে। 


আরও পড়ুন, '.. ১১ লক্ষ বাড়ি বানিয়ে দেবে রাজ্য', আবাস যোজনা নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


আর তারপরই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, যে শেখ শাহজাহানকে প্রায় ২ মাস হতে চললেও, এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, হঠাৎ করে তাঁকেই গ্রেফতারির সময় নিয়ে কী করে ভবিষ্য়দ্বাণী করলেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক? তাহলে কি শেখ শাহজাহান কোথায় আছে তা তৃণমূল জানে?ইচ্ছা করেই কি এখনও তাঁকে ধরা হয়নি?অধীর চৌধুরী বলেন, আঁচলের তলায় যদি শাহজাহান ভাই থাকে, তাহলে সেই ভাইকে তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ধরা পড়ছে না তা নয়, ধরা হয় না। সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমরা তো এটাই বলছিলাম, যে পুলিশের ঘেরাটোপে আছে। স্পষ্ট হয়ে গেল। পুলিশের ঘেরাটোপে আছে, পুঁজিপাথি দেখে একটা দিন ঠিক করে তুলে নেবে। এখন তৃণমূল বলেছে আর কোনও উপায় নেই।