সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: লোকসভা নির্বাচন (Election 2024) মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যের বহু স্কুলে (School Closed) এখনও খোলা যাচ্ছে না, প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি আইনজীবীদের (Chief Justice Of Calcutta High Court)। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে সেইসব স্কুল খোলা যাচ্ছে না। আগামী বুধবার বিষয়টি শোনা হবে বলে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 


বিশদ...
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, দেড়মাস ব্যাপী লোকসভা ভোট মেটার পরও বহু স্কুল খোলা যাচ্ছে না। কারণ, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে তাই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানান মামলাকারীরা। মামলাটি আগামী বুধবার শোনা হবে বলে খবর। এদিকে দিনচারেক আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্ট। সে সময় বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেছিলেন, 'বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে এবং এটা বন্ধ করতে হবে....রাজ্য যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে বা সমস্ত তথ্য আদালতে সামনে পেশ না করে, তাহলে আগামী ৫ বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিতে হবে। এই ধরনের ঘটনা আটকাতেই হবে।' 


বিতর্ক...
বস্তুত, ভোট ঘোষণার আগেই লোকসভা রাজ্যে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের কলকাতা-সহ শহরতলির একাধিক সকুলে অধিগ্রহণের নোটিস দিতে শুরু করে পুলিশ যার ফলে পঠনপাঠন ব্য়াহত হয় বলে প্রশ্ন তুলেছিল পর্ষদ। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন কেন্দ্রীয় স্কুলে থাকবে না? প্রসঙ্গত, শেষদফার ভোটে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে চিন্তিক হছল নির্বাচন কমিশন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা। বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা। কোথায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? চিন্তিত ছিল কমিশন। শেষদফায় মোতায়েনের কথা ছিল অন্তত ১ হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই নিয়ে চিন্তা বাড়ে কমিশনের। উল্লেখ্য, আজও ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ থামল না। এদিন বসিরহাট লোকসভার দেগঙ্গায় তৃণমূলের বিজয় মিছিলে বোমাবাজি, তৃণমূলের উপপ্রধানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ, অভিযোগ উঠল ISF-এর বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তাঁকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাতে বসিরহাট লোকসভা জয়ের জন্য দেগঙ্গার গোঁসাইপুরে বিজয় মিছিল করছিল তৃণমূল। অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন হামলা চালায় ISF কর্মীরা। এই ঘটনায় চার ISF কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুুলিশ।  


আরও পড়ুন:এখনই সরকার গঠন নয়, বিরোধী হিসেবেই ফ্যাসিস্ত BJP-র মোকাবিলা, সিদ্ধান্ত I.N.D.I.A-র