রাজা চট্টোপাধ্যায় ও ঝিলম করঞ্জাই: জ্বর, বমি, পেট খারাপ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। রোগীর ভিড় বাড়ায় হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যা। ভারপ্রাপ্ত সুপার জানিয়েছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। কারও গায়ে ধুম জ্বর। কোনও শিশু ভুগছে পেটের অসুখে। কেউ বা আবার ঘনঘন বমি করছে। রোগীর ভিড়ে প্রায় সব বেডই ভর্তি শিশু ওয়ার্ডের। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে ১২১ শিশু জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১-৯ বছর বয়সী শিশুরাই বেশি অসুস্থ হচ্ছে। মূলত জলপাইগুড়ি সদর ব্লক, ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়িতে অসুস্থতার সংখ্যা বেশি। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শিশু ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে আরও ৫৫টি বেড। ফলে এই মুহূর্তে বেডের সংখ্যা ১৭৬।
আরও পড়ুন: গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এবং দখল নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রাহুল ভৌমিক বলেন আবহাওয়ার জন্য শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে। এনিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সিজশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে সুস্থতার হার অনেক ভাল। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে শিশুকে ভর্তি করাতে এসে হয়রানির অভিযোগ। ১৪ ঘণ্টা পর শিশুপুত্রকে ভর্তি করাতে পারলেন বাবা-মা। কেন এমন হল, খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। জানিয়েছে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা শিশুর বাবা-মায়ের দাবি, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬ দিন চিকিত্সা হয় শিশুর। পেটে সংক্রমণ থাকায় অস্ত্রোপচারের কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকার কথা বলে রেফার করা হয়। শনিবার রাত ২টো নাগাদ NRS-এ পৌঁছন তাঁরা। অভিযোগ, শিশুকে ভর্তি নিতে চায়নি NRS হাসপাতাল। বেড না থাকার কথা বলে, সোমবার আউটডোরে দেখাতে বলেন চিকিত্সকরা। এর পরই সন্তানকে নিয়ে আতান্তরে পড়ে পরিবার। পরে এই খবর জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ ১৪ ঘণ্টা পর, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ, শিশুকে ভর্তি নেওয়া হয় পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বিধায়কের নামে ভুয়ো প্রোফাইল খুলে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপে টাকা চাওয়ার অভিযোগ !