কলকাতা: চিংড়িঘাটায় (Chingrighata) বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম মহিলার মৃত্যু হল চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (Chittaranjan National Medical College) হাসপাতালে। মৃতের নাম খুকু গায়েন। বছর সাতচল্লিশের মহিলা পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) খেজুরির বাসিন্দা। মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, পরীক্ষা দিয়ে মায়ের সঙ্গে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে ফিরছিলেন। চিংড়িঘাটা মোড়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে লাল রঙের একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। রাতে হাসপাতালে মহিলার মৃত্যু হয়। গতকাল চিংড়িঘাটায় বেপরোয়া গাড়ি পরপর কয়েকটি গাড়ি ও পথচারীদের ধাক্কা মারে। আহত ৮ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে ৩ জন এসএসকেএম ও একজন পার্ক স্ট্রিটের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। গতকালের ওই ঘটনায় গাড়ি চালককে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন একের পর এক মানুষ! রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ! উল্টে যাওয়া গাড়ির ভিতরে আটকে রয়েছেন আরও কয়েকজন। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় বৃহস্পতিবার দুপুরে, এমনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটল চিংড়িঘাটায়। বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডবে এক পুলিশকর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুপুর একটা নাগাদ একের পর এক সিগন্যাল ভেঙে নিক্কোপার্কের দিক থেকে এই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে বাইপাসের দিকে আসে। লোহাপুলের সামনে একজন ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করলে, গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা দেয়।
এরপর, মূল রাস্তা ছেড়ে গাড়িটি চলে যায় সার্ভিস লেনে। সেখানে এক পথচারীকে ধাক্কা মারার পরে গাড়িটি ফের বাইপাসের ওপর চলে আসে। এরপর, চিংড়িঘাটায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার গার্ডরেল দিয়ে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে গাড়িটি প্রথমে একটি স্কুটারে ধাক্কা মারে। এরপর, আরও একটি গাড়িকে ধাক্কা মারার পর, ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে গাড়িটি থেমে যায়। ধাক্কা মারার সময়, ঘাতক গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, ধাক্কা লাগার পর, সেটি উল্টে যায়।
আহতদের তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে। এদিন, সেখানে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তাঁর মুখ থেকে। এরপরই, এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার নিয়ে এদিন ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের নাম সমুদ্র বিশ্বাস। বাড়ি যাদবপুরে। কী কারণে সে এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।