হুগলি: পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে (Onion Price Hike) পথে নামল তৃণমূল । গলায় পেঁয়াজের মালা পরে মিছিল। পেঁয়াজের মালা পরে মিছিল করলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। চুঁচুঁড়ার ঘড়ির মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বাজারের সামনে স্লোগানও দেন তৃণমূল কর্মীরা। ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ। বেড়েছে বাণিজ্য়িক গ্য়াসের দামও। প্রতিবাদে পথে নামল তৃণমূল। গলায় পেঁয়াজের মালা পরে মিছিল করলেন চুঁচুঁড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। চুঁচুঁড়ার ঘড়ির মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বাজারের সামনে স্লোগানও দেন তৃণমূল কর্মীরা (TMC)। 


প্রসঙ্গত, উৎসবের মরশুমে চড়চড়িয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কোথাও ৮০, কোথাও ৯০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এবার অভিযানে নামল টাস্ক ফোর্স। নাগেরবাজার ও বাগুইআটির বিভিন্ন বাজারে সবজি ও আনাজের দাম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। কোথা থেকে, কত দামে পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে, খোলা বাজারে তা কত দামে বিক্রি হচ্ছে, সবই নোটবন্দি করছে টাস্ক ফোর্স। সম্প্রতি ৪০ থেকে এক লাফে হাফ সেঞ্চুরি করেও ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। আলুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, প্রতিদিন দামে চার-ছক্কা হাকাচ্ছিল পেঁয়াজ। মূলত মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকেই পেঁয়াজ আমদানি হয়। বাজারে যোগান কম থাকার কারণেই চড়চড় করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।


গত অগাস্টেও ৪০-৫০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল, এবার তা ৮০ তে পৌঁছেছে। দেশজুড়েই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও ঝাঁঝে চোখে জল ক্রেতার। ক্রমশ চড়ছে দাম। কলকাতার বাজারে ৮০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহেও পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।এক সপ্তাহের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।  ব্যবসায়ীদের দাবি, এবার জোগান কম থাকায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। লাগামছাড়া দামে নাজেহাল ক্রেতারা। 'এক সপ্তাহ আগে হাফ দামে কিনেছি, এখন জাস্ট দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তবু কিনতে হচ্ছে, উপায় তো নেই' বললেন এক ক্রেতা। লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস হওবার জোগাড় সাধারণ মানুষের।  


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ, মঞ্চ ছেড়ে মোবাইলে ক্রিকেট দেখলেন TMC বিধায়ক


পেঁয়াজের দাম ফের একবার বাড়তে থাকায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন ক্রেতারা। ২০১৯ সালে তো এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়। সেবার মিশর থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছিল মোদি সরকারকে। চলতি বছরে সরকার কী স্ট্র্যাটেজি নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।