সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: দুটি পৃথক পৃথক ঘটনায়  নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই ব্যক্তি । এখনও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। বির্পযয় মোকাবিলা দল তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।


মঙ্গলবার ভোরে উত্তর দিনাজপুর জেলার  চোপড়া ব্লকের সোনাপুরের চিতলঘাটা এলাকায় মহানন্দা নদীতে তলিয়ে যান মেহেবুব আলম নামে এক শ্রমিক। নদী থেকে পাথর তুলে  ট্রাকে বোঝাই করতে গিয়ে পা পিছলে নদীর জলে তলিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই তাঁর খোঁজে স্থানীয় মানুষ নদীতে তল্লাশি চালান। কিন্তু  তাঁর কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিশ। নিখোঁজ ব্যাক্তির খোঁজে  বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের নামানো হয়।  কিন্তু এদিন সন্ধে  পর্যন্ত  পাওয়া খবরে, তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।


অন্য ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ কুলিক নদীতে। রায়গঞ্জ কুলিক ব্রীজ থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তি ঝাঁপ দিয়ে জলে তলিয়ে যান।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় রায়গঞ্জ থানায় পুলিশ। স্থানীয় মানুষের ধারনা, আত্মহত্যা করতেই ওই ব্যক্তি সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


এদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে পানাগড় শিল্প তালুকের গ্লোবাস স্প্রিট লিমিটেড' নামের একটি বেসরকারী মদ প্রস্তুত কারখানায়। মৃত শ্রমিকের নাম আলাউদ্দিন শেখ। বছর পঁচিশের মৃত আলাউদ্দিন শেখ এর বাড়ি বুদবুদের শোলাগড়ে।মৃত শ্রমিকের মৃতদেহ কারখানার গেটের সামনে রেখে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার।


মৃতের পরিবারের অভিযোগ ,কারখানার ভেতরে কোনরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। মৃত যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পরে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে দীর্ঘক্ষন কারখানার ভেতরেই পড়ে থাকেন। কারখানার শ্রমিকরা তাঁকে উদ্ধার করে মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কারখানার গেটের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার ও কারখানার শ্রমিকরা। কারখানার গেটের সামনে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ।