পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডের (Jharkhand Cash Scam) তদন্তে নতুন মোড়। ২৯ জুলাইয়ের আগেও কলকাতা থেকে টাকা গিয়েছিল, দাবি সিআইডি-র (CID)। সেই সময় অভিযুক্ত মহেন্দ্র আগরওয়ালের থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তাঁরা, খবর সিআইডি সূত্রে। সঙ্গে দাবি, কলকাতা থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে গুয়াহাটি থেকে নির্দেশ দেওয়া হত ঝাড়খণ্ডের ওই ৩ বিধায়ককে (MLA)।
নতুন যা জানা গেল...
ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডের তল পেতে গত কাল দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় সিআইডি-র দল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় অভিযোগের কেন্দ্রে থাকা ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালকে। সিআইডি সূত্রে খবর, তাঁকে প্রশ্ন করেই বহু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত ২০ জুলাই-ও গুয়াহাটি গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের ওই ৩ বিধায়ক। ২১ জুলাই কলকাতায় ফেরেন। তদন্তকারীদের দাবি, বিধায়কদের কলকাতা থেকে টাকা সংগ্রহ করতে গুয়াহাটি থেকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২১ জুলাই কলকাতায় ফিরে ৭৫ লক্ষ টাকা নেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক বিধায়ক রাজেশও। এর পর ঝাড়খণ্ডে ফিরে যান তাঁরা। তার পর ফের ২৯ জুলাই গুয়াহাটি গিয়েছিলেন ৩ জন। কিন্তু কার নির্দেশে টাকা দিতেন মহেন্দ্র?কেনই বা দিতেন? লক্ষ লক্ষ টাকার উৎস কী? নেপথ্যে কি কোনও হাওয়ালার যোগ রয়েছে?সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিআইডি আধিকারিকরা। সে জন্য আজ ফের ভবানী ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে ওই ব্যবসায়ীকে।
এখনও তদন্ত যেখানে...
সিআইডি সূত্রে খবর, ২৯ জুলাই গুয়াহাটি গিয়েছিলেন ওই তিন বিধায়ক। কলকাতায় ফেরেন ৩০ জুলাই। সে দিনই ৪৯ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন মহেন্দ্র আগরওয়ালের থেকে। কিন্তু তার পরই তাঁদের আটক করা হয়, পরে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিন জন। তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। খোঁজ করতে গিয়ে মহেন্দ্র আগরওয়ালের নাম উঠে আসে। অভিযান চলে লালবাজারের বিকানের বিল্ডিংয়ের মহেন্দ্রর শেয়ার ট্রেডিংয়ের অফিসে। তদন্তকারীরা জানান, ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা নগদ ও আড়াইশো রুপোর কয়েন উদ্ধার হয় সেখান থেকে। ফেরার ছিলেন মহেন্দ্র। তবে গত কাল তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। কিছু সময় পর অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মহেন্দ্রকে। আজ ফের তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:একাধিক জায়গায় ফাটল, উল্টোডাঙা উড়ালপুল ঘিরে ফের আতঙ্ক, ঘটনাস্থলে পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা