সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের দাড়িভিটে, স্কুলের মাঠে গুলি চলার ঘটনায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে সিআইডি (CID)। তদন্ত শেষ করতে চার বছর লাগল কেন? প্রশ্ন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ঘটনায় কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত।
হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সিআইডি: তদন্ত শেষ করতে ৪ বছর লাগল কেন? যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে CID? উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিটে, স্কুলের মাঠে গুলি চালানোর ঘটনায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা CID। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দাড়িভিট। ছাত্র-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দাড়িভিট হাইস্কুল চত্বর। মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন নামে ২ প্রাক্তন ছাত্রের।
কারা চালিয়েছিল গুলি? এই প্রশ্নে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তভার নেয় CID। কিন্তু, CBI তদন্তের দাবি তোলে নিহতদের পরিবার। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতেই, মঙ্গলবার, আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
এদিন CID- এর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, সাংসদ, বিধায়ক, উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী তথ্য পাওয়া গেছে? যে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? করা হয়ে থাকলে তাঁরা কী জানিয়েছেন?ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলির খোল উদ্ধার করলেও, সেগুলি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ কেন উঠেছে? CID-র উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আরও বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অনুসন্ধান করে CBI তদন্তের পক্ষে সুপারিশ করেছে। কিন্তু, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন প্রথমে অনুসন্ধান করলেও, পরে তারা সরে আসে কেন? এনিয়ে CID-র বক্তব্য় কী? দাড়িভিটে গুলিকাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব করেছে হাইকোর্ট। ১৯ শে এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।