ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: লালবাজারের (Laal Bazaar) কাছে বিকানের বিল্ডিং (Bikaner Building) থেকে সিআইডি (CID)তল্লাশিতে (Search) লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার। ঠিক কত টাকা পাওয়া গিয়েছে, জানতে গোনার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সিআইডি-র আরও একটি টিম ভবানী ভবন থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ঝাড়খণ্ডকাণ্ডের (Jharkhand Cash Scam) সঙ্গে সুনির্দিষ্ট যোগ রয়েছে এই টাকার।


যা জানা গেল...
বিকানের বিল্ডিংয়ের যে অফিস থেকে লক্ষাধিক টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেখানে শেয়ার ট্রেডিং চলত। কিন্তু সিআইডি-র ধারণা, শেয়ার ট্রেডিংয়ের আড়ালে অফিসটির হাওয়ালা-যোগও ছিল। সম্ভবত ওই অফিস থেকেই এক ব্যক্তি বাইকে করে ৪৯ লক্ষ টাকা নিয়ে সদর স্ট্রিটের হোটেলে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, ধারণা তদন্তকারীদের। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ড ডিস্কগুলি খতিয়ে দেখছে সিআইডি। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন সিআইডি-র সাইবার ক্রাইমের সদস্যরা। সূত্রের খবর, অফিসটিতে বেশ কিছু ওয়ার্ডড্রোব এবং ড্রয়্যারের খোঁজ মিলেছে। সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যায় কিনা, দেখছে সিআইডি। সবটা ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। আইজি পদমর্যাদার এক উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসার সিআইডির তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।   


পলাতক ব্যবসায়ী...
এদিনের তল্লাশির সূত্রেই ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের নাম উঠে আসে। তিনি পলাতক। তাঁর সল্টলেকের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিন তাঁর মহেন্দ্রর অফিসে অভিযানের আগেই ফেরার হয়ে যান তিনি। তবে এদিনের ঘটনায় হাওয়ালা যোগের তত্ত্ব মোটামুটি স্পষ্ট বলেই মনে করছে সিআইডি। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই রাতে ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে ওই ৩ বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়,  ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় তাঁদের দুই সঙ্গীকেও। ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার ফেলতেই চক্রান্ত, অভিযোগ আনে কংগ্রেস। নাম ওঠে অসমের মুখ্য়মন্ত্রীর।


আরও পড়ুন:আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’ দাবি অর্পিতার