পার্থপ্রতিম ঘোষ , হাওড়া : রামনবমীর ( Ram Navmi ) মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুরে ( Howrah Shibpur ) অশান্তি। শিবপুরের ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাওড়া সিটি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার নিল রাজ্য পুলিশের CID. ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হল জানতে CID-কে তদন্তভার দেওয়া হয়ছে।
কে কে দায়িত্বে
নেতৃত্বে থাকছেন আইজি সিআইডি ওয়ান বিশাল গর্গ এবং ডিআইজি সিআইডি অপারেশনস সুখেন্দু হীরা। কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত? কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতী? অন্য রুটে কেন ঢুকেছিল শোভাযাত্রা? কোন কোন পুলিশের উপর কী কী দায়িত্ব ছিল? মূলত এই বিষয়গুলি CID খতিয়ে দেখবে বলে সূত্রের খবর। সেদিন বন্দুক নিয়ে মিছিলে কেউ কীভাবে অংশ নিল, কারা তারা, কারা অশান্তির মূলে, অশান্তি আটকাতে পুলিশই বা কী ভূমিকা নেয়, কী ব্যবস্থা ছিল পুলিশের তরফে, তা খতিয়ে দেখবে সিআইডি। সিআইডির উচ্চপদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে যাবেন খতিয়ে দেখতে।
মানব-ঢাল তৈরি করে পুলিশ
শুক্রবার দুপুরে ফের অশান্ত হয় শিবপুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে, জায়গায় জায়গায় মানব-ঢাল তৈরি করে পুলিশ। মোতায়েন করা হয় বিশাল বাহিনী। হাওড়া এবং শিবপুর থানা এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত হঠিয়ে দেয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে জিটি রোডের দুধারে দোকান-পাট। শিবপুরের কাজিপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পুরো এলাকায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।হাওড়া সিটি পুলিশের সিপি-র নেতৃত্বে গলিতে গলিতে অভিযান চালায় পুলিশ। দফায় দফায় লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় তারা। শেষ অবধি পৌনে পাঁচটা নাগাদ শুরু হয় যান চলাচল।
হাওড়ার জেলাশাসকের দফতর থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। শনিবার সকালেও থমথমে এলাকা।উস্কানিমূলক বার্তা এবং ভিডিওর ক্ষেত্রে টেলিকম, ইন্টারনেট এবং কেবল পরিষেবা প্রদানকারীদের নোটিস জারি করেছেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য।
শনিবারও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা
কাজি পাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত জিটি রোড সংলগ্ন রাস্তার দু'পাশে ধীরে ধীরে খুলছে দোকানপাট। জিটি রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক। এলাকায় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশবাহিনী। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন হাওড়া পুলিশের পদস্থ কর্তারা
অন্যদিকে, হাওড়ার শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কমিশন। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউম্যান রাইটস ভায়োলেন্সের তরফে ৬ সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন আইনজীবী থেকে প্রাক্তন আইজিরাও। ৭ দিনের মধ্যে রাজ্যে এসে রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রের কাছে জমা দেবেন তাঁরা, কমিটি সূত্রে খবর।