শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্যানিংয়ে আক্রান্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের কাছাকাছি। আক্রান্তের নাম তাজউদ্দিন নস্কর। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুই যুবক। 


কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাতে ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন তাজউদ্দিন। ভাই ঠেকাতে এলে তাঁকেও রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়েছিলেন ক্যানিং থানার ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। ঘটনাচক্রে তখন সেখান দিয়েই ক্যানিং থানার প্রিজন ভ্যান আসছিল। বিষয়টি নজরে এলে তারাই তাজউদ্দিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর পুলিশের গাড়িতে করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, এক নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে টাকা নিয়ে বচসা হয়েছিল তাজউদ্দিনের। এর পরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনায় পরিবার দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। রাতেই দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ক্যানিং থানার আধিকারিক-সহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মী।


আগেও আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার...
সিভিক ভলান্টিয়ার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। গত মে মাসে রাতের শহরে মত্ত বাইক চালকের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মুখে ঘুষি মারেন বাইক চালক। আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের গালে কামড়ে দেন। ওই বাইক চালককে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল কসবা থানা এলাকার নস্করহাটে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এক বাইক চালক দৃশ্যতই মত্ত অবস্থায় এক মহিলাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ বাইক থামালে বচসা বেঁধে যায়। তখন পুলিশ কর্মীরা ওই মহিলাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাইক চালককে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে ফের ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, তখনই দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারের ওপর হামলা করেন অভিযুক্ত বাইক চালক।


আরও পড়ুন:শীঘ্রই আসবে বিশ্বখেতাবও, এশিয়া কাপ জিতেই ভবিষ্যদ্বাণী দীপ্তি শর্মার