কলকাতা: পুজোর আয়োজনকে কেন্দ্র করে বেলেঘাটা মেন রোডে দুই পাড়ার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ (Clash)। সংঘর্ষ এতটাই গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, ভেঙে দেওয়া হয় চেয়ার, সাউন্ড বক্স। গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আহত হন ২ পুলিশ কর্মী। তাঁদের এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়।


কোন পাড়া পুজোর আয়োজন করবে? এই নিয়ে গতকাল রাত ২টো নাগাদ গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে মারধরও করে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে বেলেঘাটা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের তরফে থানায় স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।


তবে পুজো নিয়ে না হলেও, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের নানা জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা হচ্ছে। কখনও সেটা রাজনৈতিক কারণে সংঘর্ষের আকার নিচ্ছে।পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার (Nadia Haringhata) হরিণঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদের জেরে সংঘর্ষ হয়(Clash)। হরিণঘাটার ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা ও এলাকার রাশ দখলে রাখা নিয়ে দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে বিবাদ চলছিল।


গতকাল রাতে গন্ডগোল চরমে ওঠে। পার্টি অফিসের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আক্রান্ত হন হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। তবে এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি এমনই হয়, যে শেষ অবধি সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি-বোমার লড়াই। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতার ভাই। অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। প্রতিবাদে ইসলামপুর থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ


গতবছর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম।নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল পার্টি অফিসের লাইট। এরপরই শুরু হয় লাঠালাঠি। একের পর এক লাঠির বাড়ি। অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল দলীয় অফিসে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম। পরস্পরকে লক্ষ্য করে কাচের বোতলও ছুঁড়েছিল দু’পক্ষ। এই ঘটনায় ৮ জন জখম হয়েছিলেন।