কলকাতা: একলপ্তে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। অযোগ্য়দের জন্য় আজ বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যোগ্য় চাকরিপ্রাপক। তাদের এই পরিণতির দায় কাদের? এনিয়ে সপ্তমে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।                                


শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ: কে সৎ আর কে অসৎ। এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্কের শেষ নেই। একে অপরের দিকে কাদা থেকে চ্য়ালেঞ্জ, ছুড়েই চলেছে। এদিন ভোট প্রচারে গিয়ে চাকরি বাতিল  নিয়ে ফের সরব হন মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অনেক বোমা আছে না? অনেক পিস্তল আছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেল কেন? টাকা রক্ষা করতে হবে না। না হলে ED ধরবে, CBI ধরবে, আয়কর দফতর ধরবে, NIA ধরবে। তাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য় আজকে মনে রাখবেন সবচেয়ে বেশি গদ্দারি যে করেছে সে আপনাদের মেদিনীপুরে জন্ম নিয়েছিল মীরজাফর। তার নাম মুখে বলতে আমার লজ্জা লাগে। তিনি বলতে পারবেন কতজন তাঁর হাত দিয়ে পেয়েছেন? তিনি বলতে পারবেন পুরুলিয়ার লোকেরা রাস্তায় কেন বসেছিল? কারণ সেই আসনটাও মেদিনীপুরে কাউকে কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন শুনেছিলাম, আমি বললাম ঠিক আছে মেদিনীপুর পেয়েছে ভাল। আমি আপত্তি করছি না। কিন্তু, পুরুলিয়ার লোকেরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেটা আমাদের দেখার দরকার। আর তুমি আজ মহারাজা হয়ে গেছ? তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ। আর আমরা আজ চোর বটে।


হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে চরম দুরাবস্থা। এরই মধ্যে চলছে রাজনৈতিক তরজা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চিৎকার করেন জেলার চাকরি, জেলার চাকরি। উনিই সব জায়গায় DPSC তুলেছেন। ২০১৩ সালে প্রতিটা জেলায় ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি কাউন্সিল ছিল। জেলার লোকেরা জেলার শূন্য়স্থানে নিয়োগ হত। উনি মোটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে এটা করিয়েছেন।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Weather Update: প্রবল দাবদাহে কেমন আছে পশুপাখিরা? বিশেষ ব্যবস্থা ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায়