কলকাতা: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত কলকাতা। জলের নীচে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট। নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। এদিকে জমজলের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক জনের। সব ইস্যু নিয়েই সরব বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বললেন, 'যারা দুর্যোগকে নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই।'
আরও পড়ুন, দুর্যোগে বিপর্যস্ত কলকাতা, নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম, কোন নম্বরে ফোন করবেন ? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় আমরা জমাজল অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এবারে আমাদের সামলাতে হচ্ছে বিহারের জল, উত্তরপ্রদেশের জল। উত্তরাখণ্ডের জল। মানে প্লাবন। ওদিকে ডিভিসি, ফারাক্কা, পাঞ্চেত, ময়ুরাক্ষি, এগুলি একটাও আমাদের আন্ডারে নয়। এবং এর ড্রেজিংয়ের টাকা আমাদের কাছে এক পয়সাও দেওয়া হয়নি। এটা পরিষ্কার যারা এইসব লিখলেন এক্স হ্যান্ডেলে, মিথ্যে কথা বলে, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলব, দুর্যোগ নিয়ে খেলা করবেন না। যারা দুর্যোগকে নিয়ে রাজনীতি করেন, তাঁদের আমি ধিক্কার জানাই। উত্তরাখণ্ডে অত ধস নামার পরে, অত মৃত্যুমিছিলের পরেও আমরা কিন্তু একটা কথাও বলিনি।'
রেকর্ড বৃষ্টিতে কলকাতার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ঘিরে তুঙ্গে উঠল রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ। একে অপরকে আক্রমণ করল বিজেপি-তৃণমূল। সমপূর্ণ ব্য়র্থ মুখ্য়মন্ত্রী ও মেয়র, দাবি করল বিরোধীরা। দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়, পাল্টা পরামর্শ দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। রেকর্ড বৃষ্টিতে কলকাতার ভয়ঙ্কর চেহারা। কার্যত স্তব্ধ গোটা শহর। জলের তলায় গাড়ি...ঘরের মধ্য়ে জল। রাস্তায় নেই বাস...চারদিকে সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস!সকাল থেকে সন্ধে চরমে দুর্ভোগ। এই পরিস্থিতিতে তুঙ্গে উঠেছে রাজনীতিও।
অপরদিকে, এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এদিন শুভেন্দু বলেন, শ্রীভূমি হাতিবাগান টালা প্রত্যয়, এই মুহূর্তে ক্যামেরা পাঠান। থইথই করছে জলে। সর্বশক্তিমান মা দুর্গা, পাপ মেনে নেননি। মারা গিয়েছেন যারা, তাঁদের সম্পর্কে কলকাতা পুলিশের, কোনও স্টেটমেন্ট নেই। নো প্রেস রিলিজ। নো এফআইআর, নো অ্যাকশন। এরা কী ভাবে মারা গেলেন?...( বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গ তুলে) নিশ্চিতভাবে ৬০০ কোটি টাকা ইলেকটোরাল বন্ডে দেওয়া সঞ্জীব গোয়েঙ্কা-রা দায়ী। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। ...আমার কাছে সব ডিটেলস আছে। আপনারা এফআইআর না করলে, আমরা পরিবারকে দিয়ে এফআইআর ও করাবো। জনস্বার্থ মামলাও করব। কলকাতার পুলিশ কমিশনার , কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, CESC এর চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, আমরা তিনজনকেই জেলে দেখতে চাই। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই।'
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)