আশাবুল হোসেন, কমলকৃষ্ণ দে, কলকাতা: কারও নাম করলেন না, কিন্তু, বর্ধমানের সভা থেকে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। দু'কান কাটা, ভোটপাখি থেকে পরিযায়ী পাখি বলে শানালেন আক্রমণ। প্রধানমন্ত্রীর ঘনঘন রাজ্যে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা, বিজেপির বক্তব্য, বিদায়বেলায় কে কি বলছে, কিছু যায় আসে না!
আরও পড়ুন, তরুণীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সালিশিতে মারধর, যুবককে উদ্ধারে গিয়ে 'আক্রান্ত' পুলিশ
দু'কান কাটা। ভোটপাখি, পরিযায়ী পাখি! নাম করলেন না! তবে বিদ্ধ করলেন একের পর এক বিশেষণে! দমদমে নরেন্দ্র মোদির সভার চারদিন পর, বর্ধমানের সভা থেকে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। একটা সময়ে, বিজেপির সভা মানেই ছিল মুহুর্মুহু 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনি! কিন্তু, সম্প্রতি এরাজ্য়ে সেই ধারায় একটা বদল এসেছে। দুর্গাপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদির মুখে 'জয় শ্রীরামের' বদলে শোনা গেছিল - 'জয় মা কালী' ও 'জয় মা দুর্গা'।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বড়রা আমার প্রণাম নেবেন, ছোটরা ভালবাসা। জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের জন্য বড় স্বপ্ন দেখেছে। বিজেপি এক সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চায়। বিজেপি বিকশিত পশ্চিমবঙ্গের নির্মাণ করতে চায়।'এনিয়েও মঙ্গলবার আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে বলত, মমতাজি তো দুর্গাপুজো করতে দেন না। এখন দেখছে কোনও লাভ নেই। এখন আবার বলছে, জয় মা দুর্গা। বাপরে! কী জোরে বলছে, আমাদের থেকেও জোরে বলছে! কারণ, ভোট আসছে, ভোটপাখি। সামনের বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট।তার আগে গত চার মাসেই তিনবার রাজ্য়ে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। যা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'এই যে আপনি বারবার আসছেন ভোটের আগে, ঠিক পরিযায়ী পাখির মতো। ভোট আসলেই আপনারা রোজ আসেন, আমি চাই ৩৬৫ দিনই আসুন। বাংলা মায়ের সম্মানে আঘাত করলে, আমার গায়ে আঘাত লাগে। আমাকে আপনারা যা ইচ্ছে গালি দিন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করুন, কুৎসা করুন, চক্রান্ত করুন, আমি লড়ে নেব, আমার বুকের পাটা আছে, জেনে রাখুন। এটা আমার মাটির শক্তি, এটা আমার মায়ের শক্তি। কিন্তু মনে রাখবেন আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না।' বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী কে চেনে, মুখ্যমন্ত্রী কে চেনে। বিদায়বেলায় কে কি বলছে। কিছু এসে যায় না! বিধানসভা ভোটের একবছর বাকি থাকতেই বাগযুদ্ধের আঁচে ফুটছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির আঙিনা।