কলকাতা : আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কমিশনের এই ঘোষণার পরই উত্তরবঙ্গ সফল বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পেশ করার শেষ দিন। এই পরিস্থিতিতে কালই উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও, আপাতত সেখানে যাচ্ছেন না মমতা। 


বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই আসন থেকে জিতেছিলেন। পরে তিনি এই আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফলে, এই আসনটির উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। এই আসন থেকে আগে দুবার জিতেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-তে তৃণমূল বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই আসনে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের আসন্ন উপনির্বাচনে মমতাই তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।  


৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। এছাড়াও, ওই দিন ভোট হবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। ভোট গণনা ৩রা অক্টোবর। রাজ্যে গোসাবা, খড়দা, শান্তিপুর, দিনহাটা-সহ ৫ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচন হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত হয়ে যায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা ও ১৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। 


রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে না এলে তৈরি হবে সাংবিধানিক সঙ্কট। সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারা দেখিয়ে এই উদাহরণ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তাই সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা মেনে রাজ্যের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


যদিও কমিশনের দাবি, রাজ্যর  মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, ভবানীপুরে ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কোনও মন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে না জিতলে তৈরি হবে সঙ্কট । তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ঘোষণা করা হয়েছে।  


এদিকে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরই ভবানীপুরে পোস্টার দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।