কলকাতা: আগের তুলনায় ব্যথা কমেছে। তবে চলছে অ্যান্টিবায়োটিক। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee Health Update)। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবারই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কপালের সেলাই কাটা হবে।


সুস্থতার পথে মুখ্যমন্ত্রী: ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে সোমবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কপালের সেলাই কাটা হবে। বৃহস্পতিবার বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধেয় তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। তাঁর কপালে ৩টি ও নাকে একটি সেলাই করা হয়। সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে যান তিনি। এরপর থেকে বাড়িতেই চলছে চিকিৎসা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের তরফে জানা গেছে, আগের তুলনায় ব্যথা কমেছে। চলছে অ্যান্টি বায়োটিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, “ব্যথা আছে। বাড়িতেই থাকবেন। রিপোর্টগুলো ঠিক আছে। ক'দিন পর বেরোতে পারবেন।’’


বারবার আঘাত: এর আগে জানুয়ারি মাসে বর্ধমানের সভা থেকে ফেরার পথে মাথায় আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জিটি রোডে ওঠার মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কনভয়ে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। চালক সজোরে ব্রেক কষায় কপাল ও হাতে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। গতবছরের জুন মাসে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা যাওয়ার সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। সুকনা এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করান পাইলট। মুখ্য়মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, স্বাভাবিক ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় সিঁড়ি থাকে, কিন্তু জরুরি অবতরণ হওয়ায়, সেই সময় সিঁড়ির ব্য়বস্থা ছিল না। সেই অবস্থায় কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমড়ে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর।


২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেও, নন্দীগ্রামে মুখ্য়মন্ত্রী আহত হন। তিনি অভিযোগ করেন, ৪-৫ জন যুবক তাঁকে ধাক্কা দেয়। তাঁর বাঁ পায়ে, কোমরে ও মাথায় চোট লাগে। বাম আমলে দুষকৃতী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ১৯৯০ সালের ১৬ অগাস্ট হাজরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় কিছু দুষকৃতী। লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটে তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Eastern Railway: দমদম স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জের, আজও যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা