কলকাতা: 'এখান থেকে বসে বলবে, বাংলাকে (West Bengal) ভাতে মারো। বাংলাকে (TMC Shahid Diwas) ভাতে মারা যাবে না, বাংলা অনেক শক্তিশালী', শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে (BJP) তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। 


কেন্দ্রকে আক্রমণ...
I-N-D-I-A-র কথা প্রত্যাশিত ভাবেই উঠে এল মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে। বললেন, 'আমি খুশি যে '২৪-র আগে  I-N-D-I-A নামে একটি জোট তৈরি করতে পেরেছি। আজ ভারতে যে লড়াই হোক না কেন, তা I-N-D-I-A-র ব্যানারে হবে।'...শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে আরও একবার তিনি বলে দিলেন, 'চেয়ারকে কেয়ার করি না। কোনও চেয়ার আমাদের চাই না। আমরা চাই, দেশ থেকে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি বিদায় নিক। কারণ বিজেপিকে আর সহ্য করা যাচ্ছে না।' সেই প্রসঙ্গেই বাংলার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কথা উঠে আসে। মমতা বলেন, 'বাংলায় এত প্রকল্প। ...প্রায় ৬৭টি মতো। আর কোনও রাজ্য়ে নেই। বিশ্বে নেই। সামাজিক সুরক্ষায় আমরা প্রথমে।' ঠিক সেই কারণেই 'জ্বলছে' বিজেপি, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। বললেন, 'নীতি আয়োগ বলছে, গত এক বছরে ১১ শতাংশ দারিদ্র কমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর দশ বছরের হিসেবে ২৬ শতাংশ। বাংলায় কর্মসংস্থান বেড়েছে ৪০ শতাংশ, আর গোটা ভারতে ৪৫ শতাংশ কমেছে।' এবারের শহিদ দিবসে পঞ্চায়েত নির্বাচনেক অশান্তি ও প্রাণহানির অভিযোগ যে তৃণমূল সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়াচ্ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গও একেবারে স্ট্রেট ব্যাটে খেলেছেন। স্পষ্ট করে বলে দেন, 'পঞ্চায়েতে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমর্থন করিনা।  প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।' 


ছেড়ে কথা নয় সিপিএম-কে...
'সিপিএমের বন্ধুরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই আপনাদের অ্যালার্জি। বলুন, ২০০৩ সালের নির্বাচনে কত জন খুন হয়েছিলেন?৮৯ জন। ২০০৮ সালে শুধু নির্বাচনের দিন ৩৯ জন খুন হয়। পঞ্চায়েত ভোটের সমস্যা হচ্ছে, এক বাড়িতে চার জন দাঁড়ান। এটা সামাজিক সমস্যা। নির্বাচনে সেই জন্য অনেক জায়গায় রাজনৈতিক নয়, অরাজনৈতিক পঞ্চায়েত রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পঞ্চায়েত তো আমরা আনিনি।' তাঁর মতে, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত ২৯ জন মারা গিয়েছেন। নিহতদের ১৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, দাবি তাঁর। সঙ্গে প্রশ্ন, তৃণমূল কি তৃণমূলকে হত্যা করবে?  ৭১ হাজার বুথের মধ্যে মাত্র ৩টে জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে, আরও দাবি তাঁর। খুনোখুনির মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু নিহতের সকলের পরিবারকেই ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের এক জনকে হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, এই ঘোষণা আগেও করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা অভিযোগ ছিল, বেছে বেছে শুধু নিহত তৃণমূল কর্মীদেরই এই সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।  


আরও পড়ুন:দীর্ঘ ১৬ বছর অনশন করেছেন, আজ সেই মণিপুর দেখে অসহায় বোধ হচ্ছে, মুখ খুললেন ইরম শর্মিলা