কলকাতা: ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্য কমিশনার (Information Commissioner) ঠিক করতে বৈঠক। সেই বৈঠকেই দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভার (west bengal assembly) ঘরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিরোধী দলনেতাকে। প্রসঙ্গত, এর আগে নভেম্বরে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজনে।



গত নভেম্বরে বৈঠক
গত নভেম্বরে দীর্ঘদিন পরে মুখোমুখি কথা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর। সে বার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা, তাঁকে ভাই বলে সম্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। বাবার খোঁজ নেন, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণও জানান। সে বার বিধানসভার প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মার্শাল গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে এ কথা বলতে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি একা যাবেন না। অধিবেশনের বিরতির সময় অশোক লাহিড়ি এবং অগ্নিমিত্রা পালকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা। কিছুক্ষণ পরে আসেন মনোজ টিগ্গা। সূত্রের খবর, সে বার শুভেন্দু ঘরে ঢুকতেই, মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'কেমন আছিস?' জবাবে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'ভাল আছি।' এর পরে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, 'বাবা কেমন আছে?' শুভেন্দু বলেন, 'বাবা ভাল আছেন।' তখন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা বলেন, 'বাবাকে আমার প্রণাম জানাস।' তার মধ্যেই চা আসে। কিন্তু, চায়ে চুমুক দিতে না দিতেই দ্বিতীয়ার্ধের অধিবেশন শুরুর বেল বেজে গিয়েছিল, ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। পিছনে দেখা যায় শুভেন্দু-সহ অন্যদের। বিষয়টি নিয়ে পরে মমতা জানিয়েছিলেন, সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের জন্য আমি ডেকেছিলাম। যেহেতু সংবিধান দিবস, যাতে উন্নয়নের কাজ সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেজন্য। আর শুভেন্দু বলেন, 'উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, লিডার অফ দ্য হাউস। লিডার অফ দ্য অপজিশনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমাকে একাই ডেকেছিলেন। আমি বিজেপি পার্টি করি। এটা পরিবার। আমি ৩ জন MLA’কে নিয়ে গিয়ে সৌজন্য বজায় রেখেছি। উনি যদি চান সৌজন্যের রাজনীতি এবং হাউস বিলংস টু অপজিশন, উভয়পক্ষের মধ্যে ওয়ার্কিং অ্যাটমোস্ফিয়ার তৈরি হোক।'


কটাক্ষ...
মুখ্যমন্ত্রীর এই ডেকে পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ ধেয়ে এসেছিল বিজেপি শিবির থেকে। টিপ্পনি কাটেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা দেন কুণাল ঘোষও। কিন্তু রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা যত চড়া সুরে বাজছে, ততই শাসক-বিরোধী সংঘাতের আবহ তীব্রতর হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, তাও আবার তথ্য কমিশনার ঠিক করার প্রশ্নে। সব মিলিয়ে উত্তেজনার পরত। 


আরও পড়ুন:বেঁচে রয়েছে এলটিটিই প্রধান, প্রভাকরণকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি টিএনএম নেতার