উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : সোমবার রাতের হত্যালীলা, বাংলাকে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অথচ বুধবার সেই বকটুই গ্রামে যাওয়ার পথেই, দল বেঁধে ল্যাংচা খেলেন বিজেপির বিধায়করা। তা নিয়ে রীতিমতো ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছেড়ে কথা বললেন না তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। 


মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ 

বিধবা ভাতা প্রদানের অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাট প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, '' আমি আজই যেতাম, কিন্তু কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছে ল্যংচাতে ল্যংচাতে। তাই রাত হয়ে যাবে। আমি রেডি ছিলাম যাওয়ার জন্য। কিন্ত শুনলাম, ওরা ল্যাংচামহলে ঢুকে ল্যাংচা খেয়ে আসানসোলের দিকে যাচ্ছেন, আসানসোল হয়ে রামপুরহাটের দিকে যাবেন। '' 


কলকাতা থেকে চারটি বাসে করে রামপুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রায় ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে বিখ্যাত ল্যাংচার দোকানের সামনে বাস থামান বিজেপি বিধায়করা । তারপর তৃপ্তি করে ল্যাংচা খেতে দেখা যায় তাঁদের। সেই দলে ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা থেকে ,হবিবপুরের জুয়েল মুর্মু  প্রমুখ। 


এই ঘটনার কটাক্ষ করে ট্যুইটারে কুণাল ঘোষ লেখেন


'গাড়ি, বাসে যথাযথ আয়োজন বলে খবর। তবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে? উল্লেখ্য, ওঁরা রামপুরহাটের দুঃখজনক ঘটনাস্থল দেখতে যাচ্ছেন '






বিজেপির জবাব 
কুণালের এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেন, আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, '' কুণাল দা আসলে, যতদিন যাচ্ছে তত কোন পরিস্থিতিতে কী বলতে হয় বুঝতে পারছেন না! ''