কলকাতা: আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ধনধান্য অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, 'নির্বাচনের কারণে না জেনে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। না জেনে বলা যায় শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা যায়।' এই মুহূর্তে কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নাম না করে কি তাঁকেই বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? ধনধান্য অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর এমন বার্তার পর ফের শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।


কেন শোরগোল?
২০১৯ সালের ১৪ মে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। রোড শো চলছিল। সেই সময়ই সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালীনই বিদ্যাসাগর কলেজের ক্যাম্পাসে ঢুকে মূর্তি ভেঙে দেয় একদল উন্মত্ত যুবক। এদিন, বিশ্বকবির জন্মজয়ন্তীতে, সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম না তুলেও সেই প্রসঙ্গই ছুয়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মনে করালেন, কোনও অবস্থাতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ থেকে সরা যাবে না। কবিগুরু যে বিভেদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, দিলেন সেই বার্তাও। সঙ্গে আরও বলেন, 'আজ আমাদের শপথ নেওয়ার পালা, কবিগুরু যেভাবে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথেই যেন এগিয়ে চলি। আমরা যেন কখনও না ভাবি নির্বাচনে ৫ টাকায় কাউকে কাউকে কিনতে পারা যায়। শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বলা যায়, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা যায়। আবার নির্বাচনের নামে না জেনে, টিপি-তে লিখে নিয়ে এসে অনেক বড়বড় কথা বলা যায়। কিন্তু আমি জানি, হৃদয়কে মুক্ত রাখুন। হৃদয়ের মধ্যে দিয়ে রবি বন্দনা হোক, আরাধনা হোক, তবেই তো রবীন্দ্রনাথকে জানতে পারব।' 


কলকাতায় শাহ... 
এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে কলকাতা এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার সেরে রাতেই কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ তাঁর একাধিক অরাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি ঘুরে দেখলেন অমিত শাহ। গেলেন ঠাকুরবাড়ির বিভিন্ন অংশে। দেখলেন রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে BSF-এর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন অমিত শাহ। সন্ধেয় সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তার পর, আজ রাতেই দিল্লি ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। এমন সময়েই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর মন্তব্যে অন্য তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি শিবির। চুপ করে থাকেনি বামেরাও। মোটের উপর রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও তপ্ত বঙ্গ-রাজনীতি।   


আরও পড়ুন:পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?