সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। কীভাবে এবং কী পরিষেবা দিতে হবে রাজ্যকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আদালতের নয়। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে মন্তব্য কলকাতা হাইটোর্টের (Kolkata High Court) প্রধান বিচারপতির। আদালতের সাফ কথা, পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা। যদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে তাহলে সেটা সরকারের ব্যর্থতা এবং এটা ধরে নিতে হবে যে সরকার তার জনগণকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না । স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High COURT) ধাক্কা খেল রাজ্য (West Bengal)।


নদিয়ার (Nadia) তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেহাল । এই মর্মে ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)  জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নবীন চাকি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়ে প্রধান বিচাররতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে । প্রধান বিচারপতি বলেন, জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। কীভাবে এবং কী পরিষেবা জনগণকে দিতে হবে রাজ্যকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার দ্বায়িত্ব আদালতের নয় । এলাকার বাসিন্দাদের আপৎকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে  থাকা উচিত ।  


রাজ্যের (West Bengal) সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে- নির্দেশিকায় বলতে হবে, রাজ্যের কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিকাঠামোগত বা কর্মীর অভাব থাকলে তা যেন স্বাস্থ্য সচিবকে জানানো হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া রিপোর্টের নির্যাস রাজ্যকে জানাবেন সচিব এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।


পাশাপাশি তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সমস্ত রকম পরিকাঠামোগত চাহিদা মেটানোর নির্দেশ নিয়েছে আদালত । এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঠিক মতো চলছে কিনা বা পর্যাপ্ত কর্মী আছে কিনা তা নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । 


আরও পড়ুন: Coochbehar News: 'উত্তরবঙ্গের সব আসনেই প্রার্থী দেবে বিজেপি, বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে', হুঙ্কার বিজেপি নেতা


অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি সহ বাকি মামলাকারী সংগঠনকে শহিদ মিনারে অবস্থানের অনুমতি দিল হাইকোর্ট। তবে এক্ষেত্রে লাগবে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র। সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। রাতে শুধুমাত্র ১৫ জন আন্দোলনকারী থাকতে পারবেন অবস্থান মঞ্চে। বকেয়া বেতন ও স্থায়ীকরণের দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলির এই অবস্থান-কর্মসূচি।