বিটন চক্রবর্তী, আশাবুল হোসেন, সুকান্ত দাস, পূর্ব মেদিনীপুর : এগরার ঘটনার (Egra Incident) পর খাদিকুল গ্রামে গিয়ে বাজি তৈরির ক্লাস্টার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। জায়গা চিহ্নিত হলেও, এখনও কোথায় ক্লাস্টার হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। বাজি ক্লাস্টারের অপেক্ষায় দিন গুণছে মহিষাদলের কেশবপুর-জালপাই এলাকার বহু পরিবার।
আরও একটা বিস্ফোরণ। আরও একবার সাধারণ মানুষের মুখে সেই প্রশ্ন, দায় নেবে কে ? কৃতিত্ব নিতে সবাই প্রস্তুত, দায় কেন কেউ নেয় না ? কারা চাইছে বাংলাকে 'বোমাপুরী' বানাতে ? শিল্প মানে কি 'বোমা' ? মুখে দত্তপুকুর বা বিস্ফোরণের কথা একবারও উচ্চারণ না করলেও, দত্তপুকুর বিস্ফোরণের পরের দিন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে ফের 'সবুজ বাজি' (Green Crackers) তৈরির কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরের ১৬ মে, দত্তপুকুরের (Duttapukur Incident) মতোই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় এগরার খাদিকুলে। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে, ঝলসে মৃত্যু হয় ১১ জনের। এই ঘটনার, ১১ দিন পর হেলিকপ্টারে খাদিকুলে যান মুখ্য়মন্ত্রী। দেন বাজি তৈরি ক্লাস্টার (Cracker Making Cluster) বানানোর আশ্বাস। এরপরই, ক্লাস্টার তৈরির জন্য পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা প্রশাসনের তরফে দুটো জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়। একটি হল মহিষাদলের কেশবপুর-জালপাইতে। অন্যটি, কোলাঘাটের রূপনারায়ণের তীরবর্তী এলাকায়।
এই কেশবপুর-জালপাইয়ের চিঙ্গুড়মারি এলাকায় অন্তত ১৫টি পরিবার বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খাদিকুলের বিস্ফোরণের পর, পুলিশ-প্রশাসনের সক্রিয়তায়, বন্ধ হয়েছে বেআইনি বাজি তৈরি (Illegal Cracker Making)। এখন তাঁদের কেউ দিন মজুরি করছেন, বিড়ি বাঁধছেন বা ইটভাটায় কাজ করছেন। তাঁদের আপেক্ষ, সরকার তো বলেছিল ক্লাস্টার তৈরি হবে, হল কোথায় ? কবে ক্লাস্টার তৈরি হবে, আমরা কী না খেয়ে মরব, আমরা বিড়ি বেঁধে খাচ্ছি। কবে ক্লাস্টার তৈরি হবে, এখন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন সেখানকার মানুষগুলো।
আরও পড়ুন- দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে সন্ত্রাস-যোগ নেই তো? উঠে আসছে খাগড়াগড় স্মৃতি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন