আশাবুল হোসেন, দার্জিলিং : পাহাড় সফরের তিন দিনে তিন ভিন্ন ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তৈরি করেছিলেন ফুচকা। বুধবার চকোলেট বিলি করেন ছোটদের মধ্যে। আর বৃহস্পতিবার মোমো বানাতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। আর পাহাড় ছাড়ার আগে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মুখে উঠে এল রাজ্যভাগ ঘিরে কড়া অবস্থানের প্রসঙ্গ। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'পাহাড়-সমতল ভালো থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আমার কাছে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ সমান'।


আক্রমণ অভিষেকেরও


জন বার্লা থেকে আনন্দময় বর্মন কিংবা শিখা চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির একের পর এক সাংসদ-কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিধায়কদের গলায় শোনা গেছে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি। এই প্রেক্ষাপটেই মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেছিলেন, 'বিজেপির কোনও নেতা-কর্মী, যদি বুকের পাটা থাকে, আর বাপের ব্যাটা হও, বাংলা ভাগ করার চক্রান্ত করে দেখাও। উত্তরবঙ্গ শব্দটিতেই আমার আপত্তি আছে। সারা রাজ্যটা পশ্চিমবঙ্গ। উত্তর-দক্ষিণ ভাগ আর নয়। আপনারা যখন রাজ্যের বাইরে যান, তখন কি বলেন উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছি বা দক্ষিণবঙ্গ থেকে এসেছি? তখন তো আমরা বলি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছি।' দু-দিনের মধ্যে এবার একই সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও।


পাহাড়ে অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী


এদিন পাহাড় ছাড়ার আগে, দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিল থেকে চিড়িয়াখানার সামনে দিয়ে সিংমারি পর্যন্ত হাঁটেন তিনি। মাঝেমধ্যে নিজের মোবাইল ফোনে (Mobile Phone) ক্যামেরাবন্দি করেন আশপাশের দৃশ্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবদারে তোলেন সেলফিও। সিংমারি থেকে ফেরার পথে হঠাৎই একটি মোমো তৈরির দোকানে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বানান মোমো (Momo)।


মঙ্গলবার, দার্জিলিংয়ে ফুচকা বানিয়ে ছোটদের খাওয়ান তিনি। তাঁকে ফুচকা বানাতে দেখে কচিকাঁচা থেকে বয়স্ক, সকলেই ভিড় জমান ফুচকা স্টলের সামনে।


দেখুন ছবিতে- হাতে নিলেন বেলন-চাকি, মোমো বানাতে ব্যস্ত মুখ্য়মন্ত্রী