প্রকাশ সিনহা, কলকাতা:  কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal scam case) ফের সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল (ED) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী সোম ও মঙ্গলবার সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে। ED’র তলবের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী। দিল্লিতে (Delhi) গিয়ে তলবে আপত্তি জানিয়ে মামলা করেন রুজিরা। সম্প্রতি, সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।আবেদন খারিজ করার পরেই এবার ফের অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নোটিস পাঠাল ED।


এদিনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিধানসভায় তিনি বলেছেন, ‘মলয় ঘটক, অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই ডাকে। অভিষেকের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকি বন্ধুদেরও দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়।’ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।  


এদিকে, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের রক্ষাকবচের আবেদনের শুনানি শেষ হল। রায়দান স্থগিত রাখল হাইকোর্ট। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, অনুব্রত মণ্ডল নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করে বারবার হাজিরা এড়ালেও মাস্ক ছাড়াই তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। যিনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন, এই ভয়ে হাজিরা দিচ্ছেন না, তিনি কী করে মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন?  আদালতে প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। আদালত যদি সাক্ষীদের রক্ষাকবচ দিতে শুরু করে তাহলে কাউকে নোটিশ পাঠানো হলেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। 


অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, গ্রেফতারির উদ্দেশেই বারবার ডাকা হচ্ছে। তদন্তের নামে হুমকি দেওয়া তদন্তকারী সংস্থার কাজ নয়, কিন্তু সেটাই করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে নোটিস পাঠালে যাতে রক্ষাকবচ মেলে তার আবেদন জানানো হচ্ছে আদালতে।