প্রকাশ সিনহা ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে ইডির অভিযান কলকাতা শহরে। তল্লাশিতে বান্ডিল বান্ডিল নোটের হদিশ শহরের বুকে। কলকাতায় গজরাজ গ্রুপের অফিসে হানা ইডির। এখনও পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত। বালিগঞ্জে নির্মাণকারী সংস্থার অফিসে ইডির ম্যারাথন অভিযান। সন্ধে পেরিয়েও চলছে টাকা গোনা।
এখনও চলছে টাকা গোনা:
সন্ধে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে খবর। কারণ ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন আরও টাকা লোকানো রয়েছে এই অফিসে। বালিগঞ্জের গরচা রোডে গজরাজ গ্রুপের অফিসে তল্লাশি চলছে। টাকা গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একদিকে টাকা গোনা চলছে। অন্যদিকে টাকা খোঁজা হচ্ছে। ইডি অফিসারদের সন্দেহ, এই অফিসে আরও টাকা লোকানো রয়েছে। ১০-১২ জন এই অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
সকাল থেকেই অভিযান শুরু হয়েছে। সকাল সাতটায় ইডির টিম বেরোয়। তারপর ওখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখনও টানা তল্লাশি চলছে।
সূত্রের খবর, ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গজরাজ গ্রুপের এই সংস্থার মাধ্য়মেই কয়লা কাণ্ডের টাকা বাজারে লগ্নি করা হতো। বিভিন্ন ভাবে খাটানো হতো সেই টাকা। কালো টাকাকে সাদা করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তারা একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন, যাঁদের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কাজ হয়েছে। তার মধ্যেই গজরাজ গ্রুপের এই সংস্থা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। ইডি বরাবরই অভিযোগ করেছে, কয়লা পাচারের টাকা বিভিন্ন হাত ঘুরে কলকাতায় পৌঁছত। তারপর সেটা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বাজারে খাটানো হয়েছে। গোটা চক্রে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নির্মাণকারী সংস্থার ব্যবসাতেও ওই টাকা খাটানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। দিল্লি থেকে অফিসাররা আসেন। কলকাতার অফিসারদের নিয়ে তল্লাশি চলছে
টাকা কোথা থেকে আসত, অ্যাকাউন্টস যাঁরা দেখতেন তাঁদের প্রশ্ন করা হচ্ছে। এই সংস্থার ফান্ডিং করা করতেন, কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা। তার খোঁজ করা হচ্ছে। ওই সংস্থার কর্মী ও ম্যানেজারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংস্থার এক কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই যে বিপুল পরিমাণ টাকা অফিস থেকে মিলেছে। তার কোনও নথি রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আহমেদ ডেন্টাল কলেজের সামনে যুবকের রহস্যমৃত্যুর কিনারা, পিটিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৩