নয়া দিল্লি : আদানি-উত্তাপের মধ্যেই লোকসভায় বক্তব্য পেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। আর বক্তব্যের আগাগোড়া চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন কংগ্রেসকে (Congress)। তুলে আনলেন ইউপিএ জমানার কথা। "২০০৪ থেকে ২০১৪, এই দশ বছরে দেশের অর্থনীতির হাল ছিল শোচনীয়। সেই সময় দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার দুই অঙ্কে পৌঁছে গিয়েছিল। ওই সময়ে দেশে সব থেকে বড় দুর্নীতি হয়েছে।" এই ভাষাতেই সুর চড়ালেন মোদি।


শুধু তা-ই নয়, পূর্বতন সরকারের একাধিক ইস্যু উঠে এল তাঁর বক্তব্যে। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়ন হয়েছে, কমেছে জঙ্গি হামলার ঘটনা, বরাবর এমনই দাবি করে আসছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গেই ইউপিএম জমানায় উপত্যকা ও উত্তর-পূর্ব-সহ দেশের অন্যান্য প্রান্তের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন প্রধামন্ত্রী।


কী বললেন মোদি ?


তিনি মন্তব্য করেন, "২০০৪ থেকে ২০১৪, কাশ্মীর থেকে উত্তর-পূর্বে শুধু হিংসা আর হিংসা হয়েছে। ইউপিএ জমানায় কেউ সুরক্ষিত ছিলেন না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, জঙ্গি হামলা হত। আজ ইউপিএ-র পরিচয়, প্রতিটা সুযোগকে সমস্যায় পরিণত করেছে। আগে দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়েছে। ২০০৮ সালের জঙ্গি হামলা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করা হয়।"


প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আজ সত্যিই দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাচ্ছে দেশ। দেশে আজ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গোটা বিশ্ব আজ ভারতকে ভরসা করে। আর্থিক বৃদ্ধিতে গোটা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে ভারত। দেশের অর্থনীতিতে আজ স্থিতাবস্থা, স্থিতিশীল সরকার। জি ২০ সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব গর্বের বিষয়। দেড়শোর বেশি দেশকে করোনার সঙ্কটকালে ওষুধ-ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য ভারতের। এরপরেও কিছু মানুষ এই সব সাফল্য দেখতে পান না। ৯ বছরে ৯০ হাজার স্টার্ট আপ হয়েছে দেশে। স্টার্ট আপে ভারত এখন তৃতীয় স্থানে। মোবাইল ফোন তৈরিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে দেশ। শিক্ষা থেকে খেলাধূলা, ক্রমশ এগিয়ে চলেছে ভারত। অলিম্পিক থেকে ক্রিকেট, কৃতিত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে দেশের মেয়েরা। দেশের সর্বত্র আশার আলো, কিন্তু কিছু লোক এখনও হতাশায় ডুবে আছেন। যাঁর যেমন ভাবনা, তেমনটাই দেখেন তিনি। গণতন্ত্রে সমালোচনা দরকার। কিন্তু গত ৯ বছর ধরে শুধুই অভিযোগ আর অভিযোগ বিরোধীদের।"


আরও পড়ুন ; আদানি প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি! টেন্ডার বাতিল করে মোদির অস্বস্তি বাড়ালেন যোগী