কলকাতা: দুর্নীতি রোধে এবার কলেজে ভর্তিতে চালু হতে চলেছে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন পদ্ধতি। আর কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে শিক্ষামহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়েও, এই ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
শিক্ষাবিদদের প্রতিক্রিয়া: এবিষয়ে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, "খানিকটা অনলাইন, খানিকটা হাতে থেকে গেলে, এতে ইউনিয়ন যাঁরা করেন তাঁদের কিছুটা আগ্রহ থাকে। সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে এটা করা উচিত।''শিক্ষবিদ পবিত্র সরকারের মতে, "নানারকম ফাঁকির সম্ভাবনা নেই, তা নয়। কারণ, নেপথ্যে থেকে বলে দেওয়া হতে পারে, অমুখকে বেশি নম্বর দিতে হবে। দলের লোক। ফলে আশঙ্কা রয়েই গেল।''
কলেজে ভর্তির নামে তোলাবাজি কিংবা ইউনিয়নের দাদাগিরির অভিযোগ নতুন নয়। শিক্ষামহল থেকে বারবার দাবি উঠেছে, এই রোগের একমাত্র ওষুধ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি। সূত্রের খবর, এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। কলেজে ভর্তিতে চালু হতে চলেছে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন পদ্ধতি। এব্যাপারে নবান্নের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলেও সূত্রের খবর।
এখনও অনলাইনে ভর্তি হয়, তবে সেই ব্যবস্থা কলেজ-ভিত্তিক। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ব্যবস্থা কার্যকর হলে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যতগুলো কলেজ আছে, সবক’টার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক একটাই মেধাতালিকা তৈরি হবে। ফলে সমস্ত প্রার্থী জানতে পারবেন, কোন কলেজে তাঁর সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তাঁকে আর কোনও দুর্নীতির খপ্পড়ে পড়তে হবে না।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। সেই সময় কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির তৎপরতা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, এরপর ব্রাত্য বসুর দফতর বদলে যায়। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তির উদ্যোগও আর বাস্তবায়িত হয়নি। গতবছর তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, আবারও শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাত্য বসু। সেই বৃত্ত কি এবার সম্পূর্ণ হবে? এবার কি কার্যকর হবে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া? সেটাই দেখার।