সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: রাতের কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার শহর (Kolkata Inspection) পরিদর্শনে বেরোলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার (Commissioner Of Police)। গড়িয়াহাট, তিলজলা, ওয়াটগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি থানায় যান বিনীত গোয়েল। নিরাপত্তা, যান চলাচল-সহ একাধিক বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শহরের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন বিনীত গোয়েল।


আগে যা করা হয়...
বছরের গোড়াতেই কলকাতার নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল লালবাজার। শহর জুড়ে তিন হাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জানানো হয় তখন। থানায় থানায় মোটর বাইক রাখা হবে, জানানো হয় সেই কথাও। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো রুখতেও নতুন উদ্যোগ নিয়েছিল পুলিশ। লক্ষ্য, আরও জোরদার করা শহরবাসীর নিরাপত্তা। অপরাধ রুখতে, শহরজুড়ে বসার কথা ৩ হাজার সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরার নজরদারিতে কলকাতার অলিগলি মুড়ে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভারত চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানে শিল্পপতিদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ঘোষণা করেন, কয়েকমাসের মাসের মধ্যেই ১ হাজার ক্যামেরা লাগানো হয়ে যাবে। বাকিটা কয়েকমাসে লাগানো হবে। নারী সুরক্ষা জোরদার করতে, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কলকাতায় বিভিন্ন থানায় রাখা হবে ৫০ টি বাইক। শহরে প্রায়শই মত্ত অবস্থায় গাড়ির চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এবার মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো রুখতেও নতুন উদ্যোগ নেয়  লালবাজার। এ দিকে, অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে বাড়ছে সাইবার অপরাধও। অনলাইনে আর্থিক লেনদেন যত বাড়ছে, ততই যেন চওড়া হচ্ছে অন্তরালে থাকা সাইবার প্রতারকদের হাত। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেন পুলিশ কমিশনার। শুধু তাই নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেও পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চলে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। প্রথমে যান ভবানীপুরের ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস স্কুলে। সেখানে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গোলাপ। তার পর যান এলগিন রোডের ক্যাথিড্রাল মিশনারি স্কুলে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিনীত গোয়েল। ওই দিনেই কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে অবসর নেন সৌমেন মিত্র। ১৯৯৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার বিনীত গোয়েল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বও সামলেছেন আগে। এ ছাড়াও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্ব সামলানোরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।


আরও পড়ুন:অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে