আবির দত্ত, কলকাতা: ফের সরকারি হাসপাতালে রেফার-রোগ। ৩টি হাসপাতাল ঘুরে NRS-এ চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মৃতের নাম মেঘনাদ চন্দ্র।


হাসপাতালে রেফার-রোগ: পরিবারের দাবি, খেলতে গিয়ে কুচকিতে চোট পান বছর ছাব্বিশের যুবক। এরপর বাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, প্রথমে এম আর বাঙুর, এরপর এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল ঘুরে NRS-এ নিয়ে আসা হয় যুবককে। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসক আসেননি। বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখায় আজ সকালে যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তখনই রোগীর মৃত্যু হয়, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।                                                                                                                                           


ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায়, কলকাতার কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারকে (Kothari Medical Centre) ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত (National Consumer Protection Court)। এছাড়া, মামলার খরচ বাবদ অভিযোগকারীকে আরও ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে টাকা দিতে হবে অভিযোগকারীকে। এর পাশাপাশি, কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, রায়ের বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নেওয়া হবে।


ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?


২০১৪-য় মৃত্যু হয় অরুণিমা সেনের। ৩১ বছরের ওই মহিলা চিকিৎসকের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ছিল। চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে ল্যাপরোস্কোপিক ডাই টেস্ট করা হচ্ছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, ২০১৪-র ৫ মার্চ, চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রোগিণীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। ওইদিনই মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, পরীক্ষা প্রক্রিয়া চলার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।            


আরও পড়ুন: West Midnapore News: জাতীয় সড়কের উপর পণ্য বোঝাই কন্টেনারে বিধ্বংসী আগুন, আহত চালক