কলকাতা : আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি (Kaustav Bagchi Arrested) ও আদালতে পেশ ঘির কার্যত নজিরবিহীন পরিস্থিতি ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। আইনজীবীর পক্ষে দাঁড়ালেন ১০০ জন আইনজীবী। সওয়াল করলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। যেখানে সওয়াল-জবাবের মাঝে আদালতের কক্ষেই তুমুল হট্টগোল হয়।
কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবীকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আবার বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরেও বিক্ষোভ দেখান তারা। আদালতে ঢোকার মুখে হাত কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের জেরে বড়তলা থানার পুলিশ কৌস্তভ বাগচীকে পিছনের দরজা দিয়ে আদালতে নিয়ে ঢোকে। যারপর সওয়াল জবাব পর্বে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, মাঝরাতে যেভাবে একজন উকিলের বাড়িতে গিয়ে তারপর তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তার জন্য পুলিশের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হোক। গোটা প্রক্রিয়া আইনের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের বলেও দাবি করেন তিনি। যে দাবির সমর্থন করেন বাকি আইনজীবীরাও।
দেশজুড়ে আইনজীবীদের যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে তারা একজোট করতে চান, সে কথা সকালেই জানিয়েছিলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি যে পুলিশ বিচারপতি বাড়িতে পোস্টার পড়লে তা কোথা থেকে ছাপানো হয়েছে সেই খোঁজ পায়না, তাদের মাঝরাতে একজন আইনজীবীর বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করার প্রসঙ্গও উঠে আসে আলোচনায়। পাশাপাশি সরকারি আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার দাবি জানালে তা নিয়েও আরও এক প্রস্থ হট্টগোল তৈরি হয় আদালতেই।
এদিকে, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারের প্রতিবাদ শুরু হয় বড়তলা থানার সামনে থেকেই। যারপর একাধিক থানার সামনে হাজির হয়ে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখান। বেহালা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। পরে থানায় ডেপুটেশন দেয় কংগ্রেসের। বিভিন্ন জেলায় জেলায় রাস্তায় নেমে গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করল বড়তলা থানার পুলিশ।
জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে কৌস্তভকে।
কৌস্তভের দাবি, গতকাল রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। কৌস্তভকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর।