ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: আর্থিক প্রতারণা মামলায় (Financial Fraud Case) এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তি সুরানা (Shanti Surana) নামে এক ব্যবসায়ী (businessman)। শান্তির সঙ্গে যোগ রয়েছে, এই অভিযোগে এবার হরিশ মুখার্জি রোডের নির্মাণ ব্যবসায়ী অমরনাথ শরাফকে (Amarnath Sharaf) জিজ্ঞাসাবাদ করলেন ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের আধিকারিকরা (Directorate of Economic Offenses Wing Officials)।
ব্যবসায়ীর বাড়িতে ‘হানা’
২ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই প্রতারণার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সুরানা গ্রুফ ফান্ডের সিইও শান্তি সুরানা। সেই মামলার সূত্রে রবিবার হরিশ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা, নির্মাণ ব্যবসায়ী অমরনাথ শরাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের আধিকারিকরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অমরনাথ শরাফের বাড়িতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত শরাফের বাড়িতে ছিলেন তদন্তকারীরা।
কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?
অভিযোগ অনুযায়ী, ধৃত শান্তি সুরানার সঙ্গে অমরনাথের যোগসূত্র মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই অমরনাথের সঙ্গে শান্তি সুরানার কী সম্পর্ক ছিল? তাঁদের মধ্যে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: "নীতি আয়োগের মিটিংয়ে যাব না? টাকা আসবে কোথা থেকে?" ‘সেটিং’ এর পাল্টা জবাব মমতার
শান্তি সুরানার সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতায় ২ হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারিত হয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। মূলত প্রবীণ বিত্তবানদের টার্গেট করত এই সংস্থা, এমনটাই অভিযোগ। ইতিমধ্যে সুরানার মেয়ে ও স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে, ফের ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এবার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার পানাগড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের (Bank) ভিতর থেকে গ্রাহকের ১২ হাজার টাকা লোপাট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
পানাগড় রেলপাড়ের বাসিন্দা সুশোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫০ হাজার টাকা জমা করার জন্য ব্যাঙ্কে যান। সূত্রের খবর, এই সময় এক মাঝবয়সী লোক ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারকে জিজ্ঞেস করে ডলার ভাঙানো যাবে কিনা। ওই সময়ে কাউন্টারের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সুশোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ক্যাশিয়ারের সঙ্গে কথা বলার পরে ওই ব্যক্তি এগিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে ওই ব্যক্তি একটি ডলার দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন সেটি কোথায় ভাঙানো যাবে। কথা বলতে বলতেই তাঁর হাতে থাকা ৫০ হাজার টাকার বান্ডিল টান মেরে নিয়ে নেন ওই ব্যক্তি, এমনটাই অভিযোগ সুশোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন সুশোভন। তারপরেই ওই ব্যক্তি ক্ষমা চেয়ে বান্ডিল দিয়ে দেন। তারপরেই চোখের নিমেষে ব্যাঙ্ক থেকে ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যান বলে দাবি সুশোভনের। তারপরে সন্দেহ হওয়ায় ওই বান্ডিলের টাকা ফের গুনে দেখেন সুশোভন। সেই সময় তিনি খেয়াল করেন সেখানে ১২ হাজার টাকা নেই। গোটা ঘটনার পরে কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশোভন। তিনি বলেন, 'ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে এইভাবে টাকা ছিনতাই হবে ভাবতে পারছি না। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।'