সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) লালবাতি লাগানো গাড়ি (Read Beacon Light) নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। রেজিস্ট্রেশনের তথ্যে দেখা গিয়েছে, গাড়ির মালিকানা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (NGO)-র নামে, যার সম্পাদকের দাবি, গাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কিন্তু NGO-র নামে রেজিস্টার্ড প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া দেওয়া হল কী ভাবে? তার মাথায় লালবাতিই বা কেন? সেই বিতর্ক থেকেই গিয়েছে।


অনুব্রতর লালবাতির গাড়ি নিয়ে বিতর্ক


সপ্তাহখানেক আগে লালবাতি লাগানো এই কালো গাড়িতে করে এসে SSKM-এ ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই তাঁর লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত জনপ্রতিনিধি নন, প্রশাসনিক পদাধিকারীও নন। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লালবাতি কেন? লালবাতি লাগানো গাড়িটি কার? প্রশ্ন উঠছে।


লালবাতি লাগানো যে কালো গাড়ি করে অনুব্রত মণ্ডল SSKM-এ এসেছিলেন, তার নম্বর - WB 54 Z 4176। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রকের পোর্টালে দেখা গিয়েছে, এই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২০২১ সালের ৫ মার্চ। ভেহিকেল টাইপের জায়গায় লেখা - প্রাইভেট গাড়ি। 


আরও পড়ুন: Birbhum News: বিজেপি নেতার বাড়িতে তাণ্ডব, খুনের হুমকি; নানুরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ


কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গাড়িটা সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে, যা আদতে একটা NGO। এই ট্রাস্ট সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এবিপি আনন্দ জানতে পারে, এটি একটি NGO, যার সম্পাদকের নাম মলয় পিট। স্থানীয় সূত্রে খবর, মলয় পিঠ বীরভূমের একজন ব্যবসায়ী। বীরভূমকে কেন্দ্র করে, গোটা রাজ্যে অন্তত ৫০টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা তৈরি করেছেন তিনি, যার মধ্যে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। 


স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গাড়িতে লালবাতি কেন!


একটি ছবিতে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দেখা গিয়েছে মলয় পিটকে। অনুব্রত মণ্ডলের লালবাতি লাগানো গাড়ির তথ্য নিয়ে এবিপি আনন্দ তাঁর কাছে পৌঁছয়। প্রথমে তিনি গাড়ির নম্বর দেখে চিনতে পারলেন না। পরে একজন এসে প্রায় কানে কানে তাঁকে কিছু একটা বলেন। এর পরই তিনি স্বীকার করেন, তাঁর গাড়িতে চড়ে অনুব্রত মণ্ডল কলকাতায় গিয়েছেন।  কিন্তু, চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে রেজিস্টার্ড, প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় কী করে? সেই গাড়ির মাথায় লালবাতিই বা কেন? সেই বিতর্ক থামছে না।