শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কোচবিহারের দিনহাটায় (Cooch Behar)। চার চাকার গাড়ি ও টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক টোটো চালকের (Toto Driver)। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।


 গাড়ির সঙ্গে টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ


শনিবার সকালে দিনহাটা কুর্ষাহাট রাজ্য সড়কের ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায়, চারচাকার স্কোরপিও গাড়ী ও টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক টোটো চালকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসকোটাল এলাকার সাইদুল হক বছর ৩৬-এর টোটো চালক টোটো নিয়ে দিনহাটার দিকে যাচ্ছিল অপরদিকে দিনহাটার দিক থেকে একটি চারচাকার স্করপিও গাড়ি কুর্ষাহাটের দিকে আসছিল। সেই সময় করলা ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় স্করপিও গাড়িটি দ্রুত বেগে এসে টোটোটিকে মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা মারে।


গাড়ির চালক পলাতক, ঘটনাস্থলে পুলিশ


এলাকার লোকজন শব্দ শুনে ছুটে এসে টোটো চালকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলে টোটো চালকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।ঘটনার খবর পেয়ে নয়ারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এবং টোটো চালকের দেহ উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। ঘাতক গাড়িটিকে পুলিশ আটক করেছে।গাড়ির চালক পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নয়াহাট ফারির পুলিশ।


প্রসঙ্গত, সচেতনতা বাড়িয়ে দিতে, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে উদ্যোগের শেষ নেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সদ্য সৌরনীলকে হারিয়েছে শহর কলকাতা। এখনও আকাশে বাতাসে মা ও ছেলের মধ্য়ে কথোপকথন ভাসছে। জল শুকনো চোখে মা মনে করছে দুর্ঘটনার আগে তার ছোট্ট ছেলেটা কী বলছিল ? ইতিমধ্য়েই সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সৌরনীলের এই মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই এক সমুদ্র প্রশ্ন তুলে ধরেছে। আর সৌরনীলের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে শহরে মৌন মোমবাতি মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) ।


আরও পড়ুন, রাজভবনে শপথ নিলেন ধূপগুড়ির জয়ী TMC প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়


মূলত সম্প্রতি বেপরোয়া লরিতে পিষে সাত বছরের ফুটফুটে শিশু সৌরনীলের মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও শোকস্তব্ধ শহর। এদিকে ওই দুর্ঘটনা যে মাসে হয়েছিল, সেই মাসের ২৫ তারিখই ছিল তাঁর জন্মদিন। কিন্তু,তার আগেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের রোষ আছড়ে পড়েছিল পুলিশের ওপর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নিহত শিশুর সকুলের প্রধান শিক্ষকও।