শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে! ইতিমধ্যেই দিনহাটা থানায় হওয়া এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। অভিযোগকারী যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। 


কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ তথা মোদি মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র ডেপুটি এবং দেশের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার কোচবিহারের দিনহাটা থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন, ফিরদৌস ইসলাম নামে দিনহাটার কোশামারির এক বাসিন্দা। নিজেকে স্থানীয় বিজেপি কর্মী বলে দাবি করা এই যুবকের অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর, নিশীথ প্রামাণিক তাঁকে কোশামারিতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সাইটে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। চাকরির বদলে টাকাও দাবি করেন। 


অভিযোগ পত্রে এই যুবকের দাবি, দু দফায় কোচবিহারের সাংসদকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, চাকরি এখনও পর্যন্ত পাননি। একেই এলাকার সাংসদ, তার ওপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের এই ঘটনা মঙ্গলবার সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। অভিযোগকারী যুবকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবমিলিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।


কোচবিহার জেলার তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেছেন, 'ওর সঙ্গে যা হয়েছে, একজন এমপি করেছে। আমরা ওপর পাশে আছি। প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।' এদিকে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, 'তৃণমূল করিয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখুন। কেউ কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই সেটা সত্যি হয় না।' দিনহাটা থানা সূত্রে খবর, কোচবিহারের সাংসদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনাপ্রবাহ কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।