কলকাতা: পরপর কয়েকদিন ধরে রাজ্যে কমছিল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবারে বাড়ল সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৬ জন। চিন্তা বাড়াচ্ছে গত ১ দিনে মৃতের সংখ্যা। সোমবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৪০ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগী ৮,৮১৫ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.২৪ শতাংশ। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ।
সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হন ৫১০ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এগারো জনের। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবারে আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা বেড়েছে, এমনকী বাড়ল দৈনিক মৃতের সংখ্যাও।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ১৫,৪৮,৬০৪ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫,২১,৩৪২। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৮,৪৪৭ জনের।
রাজ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য সরকার প্রকাশিত শেষ বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ১ দিনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গের সংক্রমণও। দার্জিলিঙে গত ১ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪। এছাড়া জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়া ও কলকাতায় ৩ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। .
রাজ্যে উদ্বেগ বাড়ালেও করোনায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কমল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫০ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৯৪১। এর মধ্যে শুধু কেরলেই একদিনে ১৯ হাজার ৬২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৬০ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৮০। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৪০। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৮০ জনের। একদিন সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজার ২৭৫ জন।