শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: রসিকবিল মিনি জু-তে রাজ্যের জাতীয় পশু মেছো বিড়াল (Fishing Cat )দত্তক নিলেন স্বস্ত্রীক কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার। সোমবার তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রসিকবিল মিনি জু পর্যটন কেন্দ্রে জেলা বন দপ্তরের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মেছো বিড়ালের ভরণপোষণের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে।


রাজ্যের জাতীয় পশু মেছো বিড়াল দত্তক নিলেন স্বস্ত্রীক পুলিশ সুপার


এদিন জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী রোশনি দাস ভট্টাচার্যের হাতে মেছো বিড়াল দত্তকের চুক্তিপত্র তুলে দেন কোচবিহার বন বিভাগের ডিএফও এঞ্জেল পি ভুটিয়া। এক বছরের জন্য মেছো বিড়ালের ভরণপোষণের দায়িত্বভার নিয়েছেন স্বস্ত্রীক পুলিশ সুপার। এর ভরণপোষণের জন্য কোচবিহার বন দফতরকে বার্ষিক ত্রিরিশ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁদের। 


বন দফতরকে বার্ষিক ত্রিরিশ হাজার টাকা


এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রসিকবিলের মেছো বিড়াল দত্তক নিয়েছেন। বার্ষিক ত্রিরিশ হাজার টাকা খরচে রাজ্যের জাতীয় পশুকে দত্তক নিয়েছেন তিনি। তবে বন্যপ্রাণীদের  জন্য এভাবেই আরও কেউ এগিয়ে আসুক। দত্তক জন্তুদের আলাদা করে ভরণপোষণ করা হলে সেই প্রাণীদের জন্য অনেকটা ভালও হবে। তিনি আরও জানান, শুধু রসিকবিল নয়  হাওড়ায় ডিসিপি পদে কর্মরত সময়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় একটি স্টাইপড হায়না দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বর্ধমানের রমনা বাগান মিনি জু-তে সবুজ ইগুয়ানা দত্তক নিয়েছিলেন পুলিশ সুপারের স্ত্রী রোশনি দাস ভট্টাচার্য।


রসিকবিল মিনি জু 


এই ব্যাপারে জেলা বন বিভাগের এডিএফও বিজন কুমার নাথ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জু অথরিটির নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে প্রথমবার রসিকবিল মিনি জু -তে একটি মেছো বিড়াল দত্তক দেওয়া হল। বার্ষিক ত্রিরিশ হজার টাকা খরচে জেলা পুলিশ সুপার ও উনার স্ত্রী দুজনে মিলে মেছো বিড়াল দত্তক নিয়েছেন। তবে রসিকবিলের অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের বার্ষিক অথবা মাসিক খরচে যে কেউ দত্তক নিতে পারে। 


আরও পড়ুন, দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা, অপরাধের শীর্ষে দিল্লি 


মিনি জু সূত্রে খবর, দত্তক নেওয়া পশুকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না।  তবে দত্তক পশুর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আপনাকে সময়-সুযোগ করে আসতে হবে রসিকবিলে মিনি জু - তে। শুধু ঘড়িয়াল নয়, সেই তালিকায়  রয়েছে হরিণ, ময়ূর, পাইথন, চিতা বাঘ। তবে জেলা পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা বন দফতর ।