কলকাতা: এনসিআরবি-র ২০২২-এর রিপোর্ট অনুসারে (NCRB data) এই নিয়ে তৃতীয়বার দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ শহর হিসাবে চিহ্নিত হল কলকাতা (Kolkata)। অপরাধের সংখ্যা (Crime Rates) এই শহরে সবথেকে কম। অপরাধের তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত বলে মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার ( Shashi Panja)।


দেশের সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা


শশী পাঁজা বলেন, 'কলকাতা সব থেকে নিরাপদ শহর। অপরাধের সংখ্যা কমেছে। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নারী সুরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ কলকাতা।' প্রসঙ্গত,  এর আগে একাধিকবার রাজ্যে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আসতে দেখা যায়। এর আগে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড, বগটুই হিংসাকাণ্ড -সহ একাধিক ঘটনায় বিজেপির 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' কমিটিকে আসতে দেখা যায় রাজ্যে। যদিও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কোনও বড় কোনও ঘটনা ঘটলেও অভিযান চালাতে দেরি করেনি তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। বাইশ সালে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ-এর প্রয়াগরাজে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। একই পরিবারের দুই বছরের শিশু সহ ৫ জনের গলা কেটে খুন করা হয়েছিল।


ধর্ষণে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলেই খুন


ধর্ষণে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলেই খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার পর সেবার যোগী রাজ্যে গিয়েছিল তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। আর এবারও সেই পথেই এগোল রাজ্যের শাসকদল। একদিকে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনায় যখন রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বিজেপির প্রতিনিধি দল, ঠিক তখনই বিজেপির 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' টিমের পাল্টা মণিপুরে 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং' টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মণিপুরে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে থাকবেন ডেরেক, কল্যাণ, কাকলি, দোলা সেন। 


আরও পড়ুন, ৩ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পরে 'I.N.D.I.A' জোটের বৈঠকও বাতিল


তবে মহানগরের মুদ্রার অপরপিঠেই দুর্নীতির একের পর অভিযোগ। এক সম্প্রতি শহরে এসে দুর্নীতি নিয়েও প্রবল তোপ দেগেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ ও সোনা উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ও ধৃতদের থেকে একাধিক সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও পাওয়া গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, 'আমি গুজরাতে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে দিদি ধ্বংস করে দিয়েছেন। মোদিজির পাঠানো টাকা তৃণমূলের  সিন্ডিকেট আত্মসাৎ করেছে  ।'