কোচবিহার: ৩৪ আসনের কোচবিহার জেলা পরিষদের সবকটি আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হল না জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মনের। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি জেলা পরিষদের বিদায়ী সহ সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়ারও, এছাড়াও নাম নেই জেলা পরিষদ সদস্য পঙ্কজ ঘোষ, যিনি কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এদের মধ্যে উমাকান্ত বর্মন ও শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, তাঁরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। ৩৪ জনের মধ্যে ২৪ থেকে ২৫ জনই নতুন মুখ। এবারে নাম নেই বিদায়ী সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, সহ সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ ঘোষ, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সুচিস্মিতা দত্ত শর্মার।
জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা: অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলায় আজ পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার কথা। তার আগেই প্রার্থী তালিকা ঘিরে শাসকের ঘরের কোন্দল প্রকাশ্যে এল লাটাগুড়িতে। শাসক-শিবিরের একাংশের অভিযোগ, ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত আগেভাগেই নিজের মতো করে একটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। ওই প্রার্থী তালিকা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের অন্দরে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। প্রার্থী তালিকার সত্যতা সম্পর্কে জানতে লাটাগুড়িতে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপের বাড়িতে পর্যন্ত পৌঁছে যান দলের একাংশ। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী জানিয়ে দেন, সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদনেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি দাবি করেন, তাঁর তরফে কোনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এবিষয়ে ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্তর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তৃণমূলের মনোনয়ন-কোন্দলে গুলি: উল্লেখ্য, গত ১১ মে কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের মনোনয়ন-কোন্দলে গুলি চলার অভিযোগ। জখম তৃণমূল কর্মী লিপটন শেখ। ঘটনার কেন্দ্রে সিতাইয়ের ওকরাবাড়ির ২৫৩ নম্বর বুথ। আক্রান্তের পরিবারের দাবি, এই বুথে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দেন লিপটনের জেঠতুতো দাদা বাদলা হক। অভিযোগ, সেই আক্রোশে গতকাল লিপটনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান একই বুথে তৃণমূলের আরেক দাবিদার রুহুল আমিন। রুহুলের পাল্টা দাবি, তাঁর টিকিট পাওয়ার কথা জানতে পেরে বাড়িতে হামলা চালায় বাদলা হকের অনুগামীরা। হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পালিয়ে যান বলে রুহুলের দাবি। টিকিট-কোন্দল নিয়ে ভিন্ন মত তৃণমূলের দুই বিধায়কেরও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ও দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ টিকিট নিয়ে রেষারেষির কথা স্বীকার করলেও, এর মধ্যে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া।