শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : কোচবিহারের (Coochbehar) দিনহাটায় দাঁতালের তাণ্ডব। হাতির আক্রমণে জখমও হলেন এক গ্রামবাসী। লোকালয়ে হাতির হানায় আতঙ্ক ছড়ায়। জলদাপাড়া থেকে আসতে পারে হাতির দলটি, সেখানেই ফেরানোর চেষ্টা চলছে, জানাল বন দফতর (Forest Department)।
সাতসকালে দুয়ারে হাতি। ১টা নয়, একেবারে ৬ টি হাতির পাল। এর মধ্যে অবশ্য দুই হস্তিশাবকও আছে। এর আগে কোনওদিন গ্রামের মধ্যে হাতি ঢুকেছে, এমনটা মনেই করতে পারছিলেন না প্রবীণরা। তাই বৃহস্পতিবার দাঁতাল দেখতে ভিড় জমে যায় কোচবিহারের দিনহাটার (Dinhata) লক্ষ্মীর বাজার এলাকায়। গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় হাতির দল। ফসল নষ্টের পাশাপাশি, ঘরবাড়িরও ক্ষতি করে বলে অভিযোগ। হাতির আক্রমণে জখম হন এক গ্রামবাসী।
কীভাবে লোকালয়ে ঢুকে পড়ল হাতির পাল ? তার ব্যাখ্যা দিয়েছে বন দফতর। গ্রামে নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর। হাতির পালকে জলদাপাড়া জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে তারা জানিয়েছে। কোচবিহারের অতিরিক্ত বিভাগীয় বনাধিকারিক বিজন নাথ বলেছেন, 'হাতিগুলোর ওপর নজর রাখছি। ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। জলদাপাড়া থেকে পাতলাখাওয়া হয়ে এরা ঢুকেছে। কিছুদিন আগে মাথাভাঙায় হানা দেয়। মনে হচ্ছে সেই দলটাই এখানে এসেছে।'
কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ায় (Bankura) হাতির আক্রমণে আহত হয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় ঢোকে ৪০ হাতির ওই দল। বন বিভাগ সূত্রে খবর, দলের একটি বাচ্চা হাতির মৃত্য়ু হওয়ায় আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দলটি। রাতে হাতির দলটি জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় দুই পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হয়। আহত দুই পুলিশকর্মীকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এক নম্বর ব্লকে হাতির তাণ্ডব নেমে এসেছিল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ৩০ থেকে ৪০ টি হাতি দাপিয়ে বেড়ায় এলাকায়। মৃত্যু হয় গবাদি পশুর, ভেঙে পড়েছে ৫টি মাটির বাড়ি, নষ্ট হয়দেড়শো বিঘার ফসল।